সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০১৬ ১৭:৫৬

বিএনপি ‘নালিশ পার্টি’: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির এখন আর কোনো কাজ নেই। ঘরের মধ্যে সাংবাদিকদের কাছে খালি নালিশ করে। এ জন্য এর নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।’

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদারের সভাপতিত্বে পৌর প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা ও কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি পাহাড়ের উন্নয়ন চান, বৈষম্যের অবসান চান শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকুন। ভূমি বিরোধ হলো এক নম্বর সংকট এখানে। এরও সমাধান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।’ আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে উদ্দেশে করে এসময় তিনি বলেন, ‘চুক্তি নিয়ে কোনো সমস্যা হলে টেবিল আছে। আমরা টেবিলে বসে কথা বলতে পারি। চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা আসলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। দেখা করতে কোনো বাধা আসলে আমাকে বলুন। আমিই সব ব্যবস্থা করব। তার জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।’

তিনি সন্তু লারমার উদ্দেশে বলেন, ‘অশান্তি সৃষ্টির উসকানিদাতাদের প্রশ্রয় দেবেন না। পাহাড়ে আর রক্ত চাই না, এখানে অনেক রক্ত ঝরেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শান্তিচুক্তি রাতারাতি হয়ে যায়নি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে শেখ হাসিনা সরকার শান্তিচুক্তি করেছে। এরশাদ থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার সরকার চুক্তির জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু কেউ সফল হয়নি। একমাত্র হাসিনা সরকারই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এখন চুক্তি নিয়ে দেখা যায় মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘পাহাড়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। চুক্তির আগে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য পানছড়ির দুর্গম দুদুকছড়ায় গিয়েছিলাম। আপনার কষ্ট দেখেছি। সেই আপনাকেই প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে দেশের পতাকা তুলে দিয়েছেন। তিনি আপনাকে যে সম্মান তুলে দিয়েছেন, তা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার। তিন পার্বত্য জেলার মানুষের ভালোবাসার মাধ্যমে আপনি সেই সম্মান বজায় রাখবেন বলে আশা রাখছি।’

তিনি চুক্তির বিষয়ে বলেন, সমাধানের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অবৈধ অস্ত্র দিয়ে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়। তিনি এ সময় রাঙামাটির বিভিন্ন উন্নয়ন কাজগুলো তুলে ধরেন।’

গণসংবর্ধনা ও কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত