সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০১ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:৫৭

‘খালেদা জিয়া ছাড়া কিসের জাতীয় ঐক্য’

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া কিসের জাতীয় ঐক্য, কোন জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন সরকার জানতে চেয়ে ২০ দলীয় জোট নেতা ও জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন বলেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা ও ২০ দলীয় জোট ছাড়া কোন জাতীয় ঐক্য হবে না।

রোববার সেগুনবাগিচাস্থ কচি-কাচার মিলনায়তনে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল-পিএনপি'র ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পিএনপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পিএনপি মহাসচিব আহমেদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম মহাসচিব টি এম কামরুল হাসান হৃদয়, প্রগতিশীল ছাত্রদলের সভাপতি এম.এ. আরিফ প্রমুখ।

আহসান হাবিব লিঙ্কন বলেন, আওয়ামী লীগ যে 'জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে' বলে যে দাবি করে তা হাস্যকর। আওয়ামী লীগের জাতীয় ঐক্য হলো 'আমরা আর মামারা' র মত। এই তথাকথিত ঐক্যের নামে আওয়ামী লীগ মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে প্রতারণা করছে।

'বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়া' আওয়ামী লীগের দাবী এই দাবিকে মিথ্যা ও প্রতারণা হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও তাদের আত্মীয়রাই হলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক ও তার মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না। বরং সেদিন যারা সেই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারাই আজ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও দলের নেতা। সেই দিনের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী এইচ টি ঈমাম আজকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা।

ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে চলমান সঙ্কট উত্তরণে অবিলম্বে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সাথে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা। এ কাজ করতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসের কাঠ গড়ায় তাদের বিচার হবে।

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির তোড়জোড় ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে জনবিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণবিরোধী ও ভোটারবিহীন সরকার বলেই জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপরই করারোপ করছে। লুটপাটকে আরও তীব্র মাত্রায় অব্যাহত রাখার জন্য জনগণের ওপর মাত্রাতিরিক্ত কর বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, দেশে গুমের মধ্য দিয়ে, খুনের মধ্য দিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকে দাবিয়ে রেখে তারা চেষ্টা করছে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করবার। কিন্তু এই দেশের জনগণ গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, বুকের রক্ত দিয়েছে, এই গণতন্ত্রকে তারা ফিরিয়ে আনবেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

সভাপতির বক্তব্যে ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন বলেন, আজ মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জগদ্দল পাথরের মতো এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। অঘোষিত এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় তারা সরকার পরিচালনা করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত