সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ০২:৩৩

প্রতিদিন বিএনপির ভোট বাড়ছে ১০ লাখ: মওদুদ

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এক দিন জেলে থাকলে বিএনপির ১০ লাখ করে ভোট বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য যে দু’দিন বেশি জেলে থাকতে হচ্ছে, এতে বিএনপির লাভ হয়েছে, ভোট বাড়ছে। জেলে থাকার বিষয়টি বিএনপির জন্য প্লাস পয়েন্ট আর আওয়ামী লীগের জন্য মাইনাস পয়েন্ট। জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার এক প্রতিবাদী সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া তার অধিকার। দেশে ন্যায়বিচারের যে কাঠামো আছে সে অনুযায়ী আগামী রোববারই তার জামিন মঞ্জুর হবে।

বিভিন্ন জেলা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একদল নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। আরেক দলের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাহলে দেশে কী ধরনের গণতন্ত্র আছে? আওয়ামী লীগ বিএনপিকে জনসভা করতে দেয় না। অথচ তারা জনসভা করছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগকে এভাবে ভোটের প্রচার চালাতে দিত না।

তিনি বলেন, দলের চেয়ারপার্সন জেলখানা থেকে বের হলে তাকে নিয়ে প্রচারণায় বের হবে বিএনপি। এবার কোনো আপত্তি শুনব না। আওয়ামী লীগ যদি সভা করে নৌকায় ভোট চাইতে পারে তাহলে বিএনপিও জনসভা করে ধানের শীষে ভোট চাইতে পারবে।

‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা শওকত আমীন, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা, হুমায়ুন কবির ব্যাপারী প্রমুখ।

মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে ধৈর্য সহকারে রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত তারা (সরকার) দিতে বাধ্য হয়েছে। এরপরও সরকার নানারকম কূটকৌশলে বিলম্ব করেছে।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রশংসা করেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দূরদর্শিতার প্রশংসা করি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেও যে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা যায় তা বিএনপি দেখাবে। ১০ দিনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যেভাবে এগিয়েছে তাতে সরকার খুব বেশি খুশি নয় বলে দাবি করেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে ভাংচুর করবে, পেট্রলপাম্প জ্বালাবে ভেবে তারা (সরকার) প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে প্রস্তুতি ব্যর্থ হয়ে গেছে।

মওদুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে খুব কষ্টে আছেন। একটা নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে- এটা সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন আসামির বিচার হবে পাবলিক ট্রায়ালে, এটা তার মৌলিক অধিকার। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হবে না। যে জায়গায় (বকশিবাজারে জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে) খালেদা জিয়ার ট্রায়াল হয়েছে তা কখনোই পাবলিক ট্রায়াল বলা যাবে না। একটা মারাÍক রকমের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে এ বিচার পরিচালনা করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বে বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দাবি করে মওদুদ বলেন, ভাঙাভাঙির কথা বলে লাভ নেই। বিএনপিকে ১০ বছরে কেউ ভাঙতে পারেনি। এখনও পারবে না। এখন তো যুদ্ধের সময়। বিপদের সময় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত