সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৫ ১৬:২২

আইজিপিকে দায়িত্বশীল হতে বিএনপির পরামর্শ

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থেকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিএনপি। এছাড়াও একাদশ শ্রেণির ভর্তি বিড়ম্বনা নিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।

দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন সোমবার (৬ জুলাই) নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হকের বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পুলিশকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দেন। বিএনপি নেত্রীর পুলিশ নিয়ে অভিযোগের পর পুলিশপ্রধান খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে দুঃখজনক উল্লেখ করেন। বিএনপি প্রধানকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার কথা বলেন।

রিপন বলেন, কল্পিত মামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। পুলিশপ্রধানের কাছ থেকে যখন এই ধরনের বক্তব্য আসে, তখন স্বাভাবিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বাহিনীর অন্য সদস্যরা প্রধানের মনোভাবে প্রভাবিত হয়ে চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়ে।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত নয়। এতে বাহিনীর অধস্তনরা ওই দলের প্রতি আরও বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়। তখন গণতান্ত্রিক স্পেস তো দূরের কথা, লাইফ স্পেসও সংকটাপন্ন হয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাই।

পুলিশপ্রধান হিসেবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের মতো বক্তব্য দিতে শহীদুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রধানকে লক্ষ্য করে পুলিশপ্রধানের এই ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। বিএনপিপ্রধান নাশকতার জন্য সব পুলিশকে দায়ী করেননি।

তিনি বলেছেন, কিছু কিছু সদস্য এই কাজ করেছে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিশ্চয়ই এর পক্ষে তার পর্যবেক্ষণ ও প্রমাণ আছে। তার বক্তব্যের বিপরীতে কোনো বক্তব্য থাকলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন বা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন। তাহলে বুঝতাম বিষয়টি রাজনৈতিক বাদানুবাদ। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দেওয়া বক্তব্য দৃষ্টিকটু।

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী কী শুধু আওয়ামী লীগের? প্রত্যাশা করি, বাহিনীর ভাবমূর্তির স্বার্থে সংবেদনশীল এবং সংযম প্রদর্শন করবেন। রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলা তাদের দায়িত্ব নয়। শিক্ষা খাতে হ য ব র ল অবস্থা চলছে মন্তব্য করে রিপন বলেন, বিনা ভোটের মন্ত্রী হওয়ার কারণে তারা সচিবদের প্রতি তাদের আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারছে না। সে কারণে মন্ত্রীর সামনে সচিব ছক্কা মারার কথা বলছে। এই ধরনের বক্তব্য সরকারি চাকরির বিধি-বিধানের মধ্যে পড়ে না। এর মাধ্যমে বোঝা যায় প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা কোন জায়গায় উপনীত হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন করেন, শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে খেলতে কোনো সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা। তাকে এ অধিকার কে দিয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ধন্যবাদ জানান বিএনপির মুখপাত্র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত