০২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:১৬
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস আলী এবং জেলা বিএনপির ১ম সদস্য তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর ‘কটুক্তি’র তীব্র সমালোচনা করে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘রাজনীতিবীদের হাতে রাজনীতি না থাকায় রাজনীতি তার আভিজাত্য ও সৌন্দর্য্য হারিয়েছে। শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি একজন প্রবাসী। সিলেটের কোটি মানুষের নেতা ইলিয়াস আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে কটুক্তি করে শফিকুর রহমান চৌধুরী শুধু বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জের মানুষই নয় সিলেটের কোটি মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী ও ছাত্রদলের সাবেক সোনালী ফসল ইলিয়াস আলী ও তাহসিনা রুশদী লুনা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একমাত্র নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলী ছাত্র রাজনীতি শেষে বর্তমান সরকারের হাতে গুম হওয়ার আগমূহুর্ত পর্যন্ত গণমানুষের রাজনীতির মাধ্যমেই সিলেটের মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার স্থান করে নিয়েছেন। যা একজন রাজনীতিবিদকে অর্জন করতে হয় ভালোবাসা দিয়ে ভয়-ভীতি বা সন্ত্রাস করে নয়। ’
তারা বলেন, ‘শফিকুর রহমান চৌধুরী ইলিয়াস আলীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় এখনও ভীত ও ঈর্ষান্বিত। মিসেস তাহসিনা রুশদীর লুনা ইলিয়াস আলীর সুযোগ্যপতœী। বিএনপির নেতাকর্মীদের জোর দাবিতে লুনা রাজনীতিতে পদার্পন করে বিশ্বনাথ বালাগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। যার প্রমাণ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল।
তারা বলেন, ‘ শফিকুর রহমান চৌধুরীর ইলিয়াস আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে কটুক্তি ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনায় তার ও তার দলীয় সরকারের সম্পৃক্ততার সন্দেহকেই আরেকবার প্রমাণ করে।’
বিবৃতিদাতারা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট এম নুরুল হক, যুগ্ম আহবায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, এডভোকেট আব্দুল গফফার, আবুল কাহের শামীম, আব্দুর রাজ্জাক, আলী আহমদ, এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, আব্দুল মান্নান, এমরান আহমদ চৌধুরী।
আপনার মন্তব্য