নিউজ ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০১৫ ০২:২৩

প্রথম প্রহরে কেক কাটেননি খালেদা

ফাইল ছবি

জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান হয়নি।

প্রতিবছর এই দিনের প্রথম প্রহর ১২টা ১মিনিটে দুটি কার্যালয়েই কেক কেটে খালেদার জন্মদিন উদযাপন করা হত। তবে এদিন দুটি কার্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
শুক্রবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। নিজের বাসা ফিরোজায় আছেন তিনি।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে খালেদার ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ ও কানিজ ফাতেমাসহ কয়েকজন আত্মীয় ওই বাসায় এসে তার সঙ্গে রাতের খাবার খান বলে নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার এই দিনে জন্মদিন উদযাপন না করতে খালেদার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। তারপরও গত দুই দশক ধরে ১৫ অগাস্টের প্রথম প্রহরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করে আসছিলেন বিএনপি প্রধান।

২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন ৫০ পাউন্ডের কেক কেটে।
বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স হচ্ছে ৭০ বছর। যদিও তার একাধিক জন্মদিন ও জন্মসালের হদিস পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি প্রধানের জন্ম ১৯৪৫ সালে।
বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়েও তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দেখানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন ৫০ পাউন্ডের কেক কেটে। ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন ৫০ পাউন্ডের কেক কেটে। খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার।

১৯৬০ সালের অগাস্ট মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় খালেদার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নানা পটপরিবর্তনে জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের দিকে চালিত করার যে চেষ্টা করা হয়, বিতর্কিত জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে কার্যত তা-ই উদযাপন করেন খালেদা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার দলীয় এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি দয়া করে ১৫ অগাস্ট আপনার জন্মদিন পালন না করে ১৬ বা ১৭ তারিখ করেন। আপনি তো ইচ্ছা করে ১৫ তারিখ জন্মদিন পালন করেন। ১৫ তারিখ তো আপনার জন্মদিন না।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছিলেন, “বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। তার নেতা-কর্মী-সমর্থক-ভক্ত রয়েছে। এটা তাদের অনুভূতির ব্যাপার। বেগম জিয়া নিজে থেকে কখনও জন্মদিন পালন করেন না।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত