২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:৩৬
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল নির্বাচন করা হবে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব। এরই মধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি।
এদিকে সম্মেলনের জন্য গঠিত ১১টি উপকমিটি তাদের কাজ গুছিয়ে এনেছে। সম্মেলনে অংশ নিতে সারাদেশের সাংগঠনিক ৭৮টি জেলা ইউনিটসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন নেতারা এসেছেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সবার কৌতূহল- কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে। বাদ যাচ্ছেন কারা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাই থাকছেন এটা নিশ্চিত। কারণ তৃণমূলের দাবি, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, দলের নেতৃত্ব দেবেন। তাই এ নিয়ে কারো আগ্রহ না থাকলেও, কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক- তা জানতে উন্মুখ সবাই। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই থাকছেন, নাকি নতুন কেউ আসছেন? এ নিয়েই আলোচনা এখন সবার মধ্যে।
কারণ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে দলের জন্য সময় দেয়া কঠিন। তবে তার নির্দেশেই সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের যে কোনো সমস্যা সাধারণ সম্পাদককেই দেখভাল করতে হয়। ফলে এই পদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই নয়, কৌতূহল আছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও। কারণ আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে।
এদিকে দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প তারা কাউকেই ভাবতে পারেন না আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনা যতদিন বাঁচবেন, দলের নেতৃত্ব তাকেই দিতে হবে। তারা এও বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন, এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কৌতূহল আছে, থাকবেই। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার কর্মীরা আমাদের কাছে জানতে চান, কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক। আমাদের একটাই উত্তর, প্রধানমন্ত্রী যাকে ভালো মনে করে দায়িত্ব দেবেন, আমরা তার সঙ্গেই কাজ করব।
আপনার মন্তব্য