সিলেট টুডে ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ২১:৫৮

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ হয়েছে: মওদুদের স্বীকারোক্তি

সন্তানহারা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ।


সন্তানহারা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ।

বিষয়টি খালেদা জিয়াও জানতেন না জানিয়ে কার্যত এই ঘটনার দায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ওপরই চাপালেন তিনি।

রোববার রাতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের ওই কার্যালয়ের বাইরে সাবেক মন্ত্রী মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যথোপযুক্ত সৌজন্যতা না দেখানোটা সঠিক হয়নি।”

খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়াকে ‘ছলনা’ মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি পাঠানোর পর দলটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের সদস্যের এই বক্তব্য এল।

শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদাকে সান্ত্বনা জানাতে রাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা গিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটক বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি। তার সঙ্গে দেখাও করতে আসেননি বিএনপির কোনো নেতা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি ফিরে আসেন। 

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে মওদুদ বলেন, “সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মতামতের বাইরে গুলশান কার্যালয়ের মূল গেইট তালাবন্ধ আগে থেকেই ছিল।”

প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটকে ভেতর থেকে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি ঢোকার পথে আড়াআড়ি করে গাড়িও রাখা ছিল।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় লাগাতার অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা গুলশানের ওই কার্যালয়ে রয়েছেন। সেখানে বাইরে থেকে পুলিশ কয়েকদিন তালা দিয়ে রেখেছিল।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে রওনা হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ওই কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তখন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অবস্থায় নেই।


মওদুদসহ স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য তখন কার্যালয়ের ভেতরেই ছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর। তবে তাদের কাউকে তখন ফটকের কাছে আসতে দেখা যায়নি।    

মওদুদ বলেন, “তবে এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একেবারেই অজ্ঞাত ছিলেন। তিনি তখন ছিলেন প্রায় অজ্ঞানের মতো। আমরা নিজেরাও তাকে দেখার সুযোগ কেউ পাইনি।

“তার কক্ষের দরজা বন্ধ থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রীর আসার বিষয়টি ওই সময়ে তাকে (খালেদা জিয়া) জানানো সম্ভব হয়নি। তবে খালেদা জিয়া জেগে খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”

সাংবাদিকদের এই বক্তব্য দিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে দোতলায় চলে যান মওদুদ। সেখানে নিজের চেম্বারে ৩ জানুয়ারি থেকে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর মো. নাছিরউদ্দিনও এসময় কার্যালয়ে ছিলেন।

এদিকে এর মধ্যে তখন কার্যলয়ে থাকা ব্যারিস্টার রফিকুল হকও বিএনপির আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং এর ফলে সংলাপের সম্ভবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন ।





আপনার মন্তব্য

আলোচিত