ডেস্ক রিপোর্ট

১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ১৯:১৭

বিভাগীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক মতবিনিময় সভা

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরো কার্যকর করতে নিজ শাসিত ও উন্নীত এবং ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত বিভাগীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বহু ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ আজ বিভিন্ন ভাবে অবহেলিত নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছেন। দেশের মালিক জনগণ, তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি ও নেতা নির্বাচিত হন এবং খাজনা টেক্স সহ সম্পদ প্রদান করেন, যাতে নেতারা তাদেরই প্রার্থীত জনসেবার লক্ষ্যে দেশের সংবিধান রচনা এবং প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারেন। কিন্তু ভোটের পর নেতারা জনগণকে বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে করে সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

গতকাল ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম ও বিভাগীয় সরকার বাস্তবায়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক ও ভাষানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন। প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ বশির উদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরো কার্যকর করতে সিলেট সহ সকল বিভাগে সুশাসন, সুবিচার ও উন্নয়নার্থে নিজ শাসিত ও উন্নীত এবং ঘুষ, দুর্নীতি বেকারত্ব ও দারিদ্রমুক্ত একটি উন্নত ও সুখী শান্তিময় বিভাগীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২১ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট যোগ্য নেতারাই দেশপ্রেম ও জনসেবার আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে মানব সম্পদসহ দেশের সম্পদের সদ্ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। দেশ পরিচালনার ও উন্নয়নের এ ব্যবস্থা/নীতিকেই গণতান্ত্রিক রাজনীতি বলে যাতে দেশ পরিচালনা ও উন্নয়নে জনগণ প্রদত্ত ক্ষমতা ও সম্পদ স্থানীয় সরকার পর্যন্ত বিকেন্দ্রিকৃত হয়ে দেশের মালিক জনগণের সম্পৃক্ততায় দেশের সর্বত্র সুশাসন সুবিচার এবং দ্রুত সুসম উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্রতা দূর হয়ে বহু ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সফল হয়।

কিন্তু আমাদের স্বার্থান্বেষী নেতাগণ জনপ্রত্যাশা এবং নিজেদেরই ওয়াদা মতে জনসেবা/ দেশসেবার কাজ না করায় জনগণ আজ হতাশ। নেতাগণ জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না করে দেশের উন্নয়নে জনগণ প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ স্থায়ী ভাবে কুক্ষিগত রাখতে দেশে মারামারির, জমিদারী ব্যবসার ন্যায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। নেতারা আবেগময় ও মুখরোচক শ্লোগান, কালো টাকা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষি কিছু ছাত্র ও যুবকদের অপব্যবহার করে দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে এক নেতা এক দেশ রাজনীতি করছেন। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তি-স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বড় বাধা ঘুষ, দুর্নীতি-বেকারত্ব, দারিদ্রতা ও সন্ত্রাসের উৎস বর্তমানে এক ও ব্যক্তি কেন্দ্রিক স্বৈরতান্ত্রিক দেশ পরিচালনার পরিবর্তের দেশের সর্বত্র ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত জনগণের শাসন ও উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. জুবায়ের সিদ্দিকী, শাবিপ্রবির শিক্ষক ড. সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান, সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব আখলাক আহমদ চৌধুরী, আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুর রশিদ মসরুর, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলর আজিজুল হক মানিক, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ধীরেন সিংহ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি এএইচএম ইসরাঈল আহমদ, এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক মিয়া, এডভোকেট শামীম হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, নারীনেত্রী হাসনা হেনা চৌধুরী, সিটি কাউন্সিলর কহিনুর ইয়াসমিন ঝর্ণা, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল গফফার দীলিপ, ইয়াওর বক্স চৌধুরী, রাজিউল ইসলাম তালুকদার রাজু, এডভোকেট আব্দুল মোনেম চৌধুরী, আফিকুর রহমান আফিক, সাংবাদিক সালেহ আহমদ হোসাইন, শিক্ষক মোঃ সাজিদ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল মিয়া প্রমুখ।

শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে দেওয়ান মসুদ রাজা চৌধুরী। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত