শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি:

১০ জুলাই, ২০২২ ০১:১৫

পশ্চিম পাগলায় কখন কোথায় ঈদের জামাত

কেন্দ্রিয় ঈদগাহ নির্মানের দাবী এলাকাাসীর

রাত পোহালেই সারা দেশের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে (যেসব এলাকায় ঈদগাহ ময়দান নেই) পবিত্র ঈদ উল আযহার জামাত আদায় করা হবে। এর জন্য ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করেছেন ঈদগাহ ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নেও আদায় করা হবে ঈদের জামাত। সে অনুযায়ী ইউনিয়নের ১৫টি মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাঠে পৃথক পৃথক সময়ে মুসলিম উম্মাহ্’র পবিত্র ঈদ উল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ইউনিয়নের একাধিক ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পৃথক পৃথক সময়ে ইউনিয়নের ১৫টি মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাঠে পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ৪টি মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদগুলো হলো- কান্দিগাঁও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, শত্রুমর্দন মোকামবাড়ি জামে মসজিদ, পশ্চিম কান্দিগাঁও মাদ্রাসাপাড়া জামে মসজিদ ও কাদিপুর কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ।

সকাল ৮টায় চন্দ্রপুর জামে মসজিদ, পশ্চিমপাড়া বড় জামে মসজিদ, মুসলিমপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর কাদিপুর জামে মসজিদ, রসুলপুর জামে মসজিদ, ইনাতনগর জামে মসজিদ, পশ্চিমপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ও নয়াগাঁও জামে মসজিদে ঈদ উল আযহার জামাত অনুষ্ঠি হবে। প্রত্যেক মসজিদের মসজিদ মাঠ কিংবা মসজিদের ভিতরেই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

একমাত্র মসজিদ হিসেবে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে উত্তর চন্দ্রপুর (কোনারবাড়ি) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে।

পাগলা (রায়পুর) বড় জামে মসজিদ ও দক্ষিণ কাদিপুর জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ৩০মিনিটে।

মুসল্লিরা দাবি করছেন- যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রিয় অথবা স্বতন্ত্র ঈদগাহ নির্মাণ করার। এতো এতো রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থাকতে একটি স্বতন্ত্র ঈদগাহ না থাকা ইউনিয়নবাসীর জন্য অনেকটা লজ্জার বলেও মনে করেন স্থানীয়রা। এ লজ্জা গোছানো এখন মানুষের পাশাপাশি সময়েরও দাবি।

পাগলা (রায়পুর) বড় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও. রুহুল আমীন, চন্দ্রপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও. মিসবাহ্ উল ইসলাম খান ও কান্দিগাঁও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাও. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদ উল আযহা। আমাদের ইউনিয়নের ২১টি মসজিদের মধ্যে ১৫টিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এবছর। ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বা কেন্দ্রিয় কোনো ঈদগাহ ময়দান না থাকায় পৃথক ব্যবস্থায় মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়।

‘‘আমরা মুসল্লি, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে সময় নির্ধারণ করেছি। যেহেতু, এই ঈদে কুরবানির বিষয়টি জড়িত তাই যত সকাল জামাত আদায় করা যায় ততই ভালো। সবদিক বিবেচনায় সমন্বয় করে আমরা সময় নির্ধারণ করেছি।’’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত