সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২০ আগস্ট, ২০১৭ ১৪:৫৮

মৌলভীবাজারে ঈদ ও পূজায় বোনাসের দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আসন্ন ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজায় মাসিক বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নুন্যতম মজুরি কার্যকর করার দাবিতে শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেডারেশনের উদ্যোগে শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয় হতে এক বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কোর্টরোড, চৌমুহনা, সেন্ট্রাল রোড, কুসুমবাগ এলাকা প্রদক্ষিণ করে এস আর প্লাজার সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি শহীদ সাগ্নিক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, কুলাউড়া উপজেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশিক খান ও মৌলভীবাজার জেরা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল মিয়া।

সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন শ্রমিকদের কষ্টার্জিত সৃষ্ট মুনাফায় মালিকরা মহা-ধুমধামে ঈদ-পূজার উৎসব পালন করলেও শ্রমিকদের আইনগত ও ন্যায্য উৎসব বোনাস অধিকাংশ হোটেল মালিক প্রদান করেন না। অধিকাংশ হোটেল শ্রমিকদের ঈদ ও পূজায় কোন ছুটিও প্রদান করা হয় না। আর যে সকল শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয় তাদের ছুটির দিনের বেতনও দেওয়া হয় না। সরকারি আইন, মালিকদের চুক্তি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন না মালিকপক্ষ। শুধু আইনগতভাবে নয় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের দিক থেকেও হোটেল শ্রমিকদের উৎসব বোনাস ন্যায্য অধিকার। শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও হোটেল শ্রমিকদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য করা হয়। ইতোমধ্যে হোটেল শ্রমিকদের আসন্ন ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গা পূজায় মাসিক বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাসসহ মালিক সমিতির সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, হোটেল মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে শ্রমিকদের পক্ষে দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশ থেকে আসন্ন ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজায় মাসিক বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান, বন্যা কবলিত হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদান, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নুন্যতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্রসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন, ঢাকার ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কিশোর শ্রমিক রিয়াদের খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করার দাবি জানানো হয়। সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামীতে ২২ আগস্ট কুলাউড়ায় মিছিল সমাবেশ সফল করার আহবান জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত