নিউজ ডেস্ক

১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:০৯

মন্ত্রণালয় জলমহাল ইজারা দিলেও রাজস্ব না নেওয়ার অভিযোগ

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার চকরোহিনী বিল জলমহাল ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্তের নির্দেশনা দেয়া হলেও রাজস্ব গ্রহণ করে সেই সমিতিকে দখল সমজিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অগ্রগামী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি নিখিল দাস অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)'র কাছে অপর এক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের একটি চিঠির দোহাই দিয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করছে।

গত ৯ অক্টোবর উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারী জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত  কমিটির ৪৩তম সভায় উল্লেখিত জলমহালটি ১৪২৪-১৪২৯ বাংলা মেয়াদে অগ্রগামী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অনুকুলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্তে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত-১ অধিশাখার উপ-সচিব মো. তাজুল ইসলাম মিয়া স্বাক্ষরিত সিলেটের জেলা প্রশাসককে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-এর কাছে ফাইল প্রেরণ করেন। ১৪ অক্টােবর এই ফাইল সই করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। এরপর থেকে  অগ্রগামী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি তাদের কাছ থেকে সরকারের রাজস্ব নিয়ে জলমহাল সমজিয়ে দেয়ার জন্য বার বার যোগাযােগ করলেও সংশ্লষ্টরা রাজস্ব নেননি বলে অভিযোগ করেন নিখিল দাস।

এ বিষয়ে যােগাযােগ করা হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ আমিনুর রহমান তার দপ্তরের সার্টিফিকেট শাখার সোহেলের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কেন ইজারাপ্রাপ্ত অগ্রগামী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির কাছ থেকে রাজস্ব নেয়া হচ্ছে না-এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই জলমহাল সম্পর্কে একটি উকিল নোটিস এসেছে। তাই রাজস্ব নেয়া হচ্ছে না। জানা যায়, পরে তিনি যে কাগজটি দেখান আসলে সেটি কোনো উকিল নোটিস নয়। এটি একটি ব্যক্তিগত চিঠি। এতে দেখা যায়, একই উপজেলার কুরুয়া মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিলমনি বিশ্বাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে একটি ব্যক্তিগত চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে মহামাণ্য সুপ্রীম কাের্টর হাইকাের্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং-১৪২৭৯/১৭ (আদেশ-১৫/১০/২০১৭ইং) দায়ের করিলে মহামান্য আদালত রুলজারি পূর্বক স্থগিতাদেশ দানের ব্যাপারে আমার নিযুক্তিয় এডভোকেট সার্টিফিকেট ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন। সার্টিফিকেট শাখার সোহেল জানিয়েছেন, এই চিঠির কারণে রাজস্ব নেয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে  অগ্রগামী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি নিখিল দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার্টিফিকেট শাখা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে রাজস্ব না নিয়ে টালাবাহানা করছেন। কারো ব্যক্তিগত চিঠিতে মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করা কতুটুকু সমীচিন তা সংশ্লষ্টরাই ভাল বুঝেন।

তিনি বলেন, যদি আদালত কোনো আদেশ দেন তাতো অফিসিয়ালি আসতে হবে। আর এধরণের কোনোকিছু না আসার আগেই রহস্যজনক কারণে আমার কাছ থেকে রাজস্ব নেয়া হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত