সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২০:১১

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির মানববন্ধন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন জোট সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোই কোনো নিরাপত্তা নাই। তাদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কারান্তরীণ করে রাখা হচ্ছে। অবৈধ সরকারের আইন ও মানবাধিকার পরিপন্থী কালো থাবা থেকে পুণ্যভূমি সিলেটেও রেহাই পায়নি। দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ, গাড়ী চালক আনসার আলীকে দীর্ঘ দিন থেকে গুম করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।

প্রচণ্ড বৃষ্টি সহ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, মহানগর সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, সহ-সভাপতি জিয়াউল হক, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো. ফখরুল হক, প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা ইয়াসমিন গোলাপী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লায়েছ আহমদ, মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মামুন, কৃষি সম্পাদক আব্দুল মন্নান, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুল জব্বার তুতু, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, জেলা সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-আইন সম্পাদক আমিন উদ্দিন, সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জয়, মহানগর সহ-অর্থনীতি সম্পাদক সোহেল বাছিত, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক কয়েস আহমদ সাগর, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা কাউন্সিলর আমেনা বেগম রুমি, মহানগর বিএনপির সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাতেমা জামান রোজী ও মিনারা হোসেন, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক উজ্জল রঞ্জন চন্দ, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্যে থেকে আক্তার হোসেন চৌধুরী, আলী হোসেন, সাব্বির আহমদ, এম. মখলিছ খান, নুরুল ইসলাম লিমন, শেখ কবির আহমদ, আশরাফ উদ্দিন, মাহবুব আহমদ চৌধুরী, ফারজানা বখত রাহেনা, আম্বিয়া বেগম, সালমা বেগম, মিলি আক্তার, এমরানুল হক পাবেল, ফয়জুর রহমান, রুহেল আহমদ কালাম, আব্দুল মুকিত, মির্জা সম্রাট, আলী আহমদ আলম, জহুরুল ইসলাম রাসেল, আলী আকবর রাজন, মিজানুর রহমান মিজান, রুমন আহমদ রাজু, আবুল হোসেন, আবু রায়হান রাজু, ফাহিম, কাউসার, সুমন, টিপু, রাব্বী, এহসান মাহবুব রাব্বী ও আলতাব হোসেন প্রমুখ।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, মানবাধিকার দিবসের এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা, সর্বদা’। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে জনগণের না আছে নাগরিক স্বাধীনতা, না আছে মৌলিক মানবিক অধিকার। তাই এই নৈরাজ্যকর দু:শাসনের ছোবল থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এই মূহুর্তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কন্ঠের আওয়াজ তুলে বর্তমান অপশাসনের অবসান ঘটাতে হবে।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের সব জাতির সকল মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকেরা জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার নির্দেশনাগুলোকে তাচ্ছিল্য করে নিজ দেশের জনগণের ওপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত আক্রমণ। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করতে হয়, আর সে জন্য এই সকল গণবিরোধী শাসকগোষ্ঠী জনগণের মানবাধিকারের তোয়াক্কা করে না। তাই অবৈধ স্বৈরাচারী শাসকদের পতন ত্বরান্বিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত