সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৮:৫০

কোটা সংস্কার আন্দোলন সিলেটের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ৫ দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সিলেটের উদ্যোগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন শেষে শাবিপ্রবির ছাত্র সর্দার মনসুর আহমদ ও এমসি কলেজের ছাত্র আবুল বাহারের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথমত, কোটা ব্যবস্থাকে সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা হোক: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা মিলিয়ে মোট ২.৬৩ শতাংশ নাগরিকের জন্য সংরক্ষিত আছে ৩৬% কোটা। এ ছাড়াও নারী কোটা ১০% ও জেলা কোটা ১০% মিলিয়ে মোট ৫৬% নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কোটার ভিত্তিতে। বাকি ৪৪% এ প্রতিযোগিতা করছে দেশের লাখ লাখ সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশী। যা দেশের বর্তমান জনসংখ্যার অনুপাত এবং বাস্তব অবস্থার বিচারে অন্যায্য। দ্বিতীয়ত, কোটার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদ সমূহে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হোক; কারণ, আমরা দেখেছি বিভিন্ন সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটায় সংরক্ষিত পদসমূহ পূরণ হচ্ছে না বরং বিশাল একটি অংশ ফাঁকা থাকছে। ফলে সরকারের বেকারত্ব দূরীকরণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনপ্রশাসনের গতিশীলতা কমে যাচ্ছে। তৃতীয়ত, কোটায় কোন ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়; ৫৫% কোটা থাকায় সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশীরা এমনিতেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তার উপর বিভিন্ন সময়ে কোটায় বিশেষ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যেমন: ৩২ তম বিসিএস, ৩১ আগস্ট ২০১৬ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সহ অনেক সরকারী চাকুরীতে শুধু কোটার মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত, সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা চাই: বর্তমানে সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশীদের জন্য চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর এবং বিশেষ কিছু কোটায় বয়সসীমা ৩২ বছর; ফলে সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। পঞ্চমত, চাকুরীর নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার নয়; একবার নির্দিষ্ট কোটা সুবিধায় চাকুরী নিয়ে পুনরায় অন্য চাকুরীতে যেতে চাইলে মেধার ভিত্তিতে যেতে হবে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, এমসি কলেজ শিক্ষার্থী পাশা শাহিনুর, শাহেদ সালেহ, আব্দুর রহিম (রাহি), ফয়েজ আহমেদ, রাজিব কৈরি, সম্রাট মহিউদ্দিন, শাবি ছাত্রী নাদিয়া কেয়া এবং সিলেট সরকারি ছাত্র আর এস শাওন, সিকৃবির শিক্ষার্থী শাহ নেওয়াজ মুন্না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত