গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ মার্চ, ২০১৮ ২১:২৮

গোলাপগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসীর মানবন্ধন

সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাদেপাশায় ভুল চিকিৎসায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ভুয়া চিকিৎসক খালেদ আহমদকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় স্থানীয় বাগলা বাজারে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকার মুরব্বি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও হাফিজ রাসেল আহমদ এবং আলি আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাগলা হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আলি আহমদ, কুশিয়ারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুরাদ উল্লাহ বাহার, আতিকুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সদস্য আলী হোসেন, জাকারিয়া আহমদ, নিহত ফুয়াদের পিতা খছরুল আলম, তার ছোট ভাই মুরাদ আহমদ ও সমাজসেবক মাহবুবুর রহমান নাছির প্রমুখ।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুয়া চিকিৎসক খালেদকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, বাগলাবাসী আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। খালেদের মত ভুয়া চিকিৎসকের কারণে অনেক মায়ের বুক খালি হচ্ছে। এই ভুয়া চিকিৎসক খালেদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। খালেদের এই শাস্তি দেখে আর কোন ভুয়া চিকিৎসক গ্রামের সরল সহজ মানুষদের জীবন নিয়ে খেলা না করতে পারে।

বক্তারা খালেদের মত গ্রাম অঞ্চলের অন্যান্য ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানোরও আহবান জানান।

উল্লেখ যে, গত ২/৩ দিন আগে ফুয়াদের পায়ের কিছু অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে বুধবার (২১ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় বাগলা শাহী ঈদগাহ বাজারের হামিদ ফার্মেসীতে নিয়ে আসেন ফুয়াদের মা নাছিমা আক্তার শেফালী। এ সময় হামিদ ফার্মেসীর পরিচালক খালেদ আহমদ ফুয়াদের মাতার বাধা দেওয়ার পরও ফুয়াদকে (ট্রাক্সন) নামের একটি ইনজেকশন পুষ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ফুয়াদের সারা শরীরে ঝাঁকুনি ও বমি শুরু হলে তাকে তাৎক্ষণিক একটি বমির ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকাদক্ষিণের চিকিৎসক বি. কর্মকারের কাছে নিয়ে আসার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফুয়াদের চাচা শামীম আহমদ সেলিম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খালেদ আহমদ কে একমাত্র আসামী করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং -১০/২২-০৩-১৮ ইং) দায়ের করেন। খালেদ আহমদ বাগলা-মাইজপাড়ার সিরাজ উদ্দিনের পুত্র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত