স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১২:২২

খেলল কানাডা, জিতল বেলজিয়াম

বাঁ দিক কিংবা ডান দিক, হুট করেই বেলজিয়ামের ডিফেন্সে ঢুকে পড়ছে কানাডা। বারবার এমন দৃশ্যই দেখা গেছে এই ম্যাচে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন দুর্দান্ত খেলেও নিজেদের পক্ষ নিতে পারেনি। ডি বক্সে গিয়ে দিশাহীন আর এলোমেলো সব শট। একটি পেনাল্টি পেয়েও মিস করেছে দেশটি। এমন মিসের মহড়া হলে আর জেতা যায়?  

আহমদ বিন অলী স্টেডিয়ামে বুধবার রাতটা হতে পারতো কানাডার। কিন্তু কর্তোয়া নামক দেয়াল এবং ফিনিশারের অভাবে বেলজিয়ানদের কাছে কানাডা হেরেছে ১-০ গোলে। একমাত্র গোলটি করেন বাতসুয়াই। এক কথায় বলা যায় খেলেছে কানাডা, জিতেছে বেলজিয়াম।

৪১ মিনিটে মাঝ মাঠ দিয়ে উড়ে ডি বক্সের সামনে বাতসুয়াইর কাছে আসে বল। প্রথম স্পর্শেই বল পাঠান কানাডার জালে। ১ গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। শেষ পর্যন্ত এই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। গ্রুপ এফ থেকে খেলতে নেমে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বেলজিয়াম।

২০১৪ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ১১টি ম্যাচেই অপরাজিত। টানা তিন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনারা। অন্যদিকে কানাডা বিশ্বকাপে খেলা চারটি ম্যাচে কোনোটিতেই গোল করতে পারেনি। তারা একমাত্র দল যারা এই সংখ্যক ম্যাচ খেলেও একবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি।

অথচ তারা মুহুর্মুহু আক্রমণে কানাডার ডিফেন্স কার্যত ভেঙে দিয়েছিল। বারবারই বল নিয়ে কর্তোয়ার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন অসাধারণ দক্ষতায়। অথচ পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে ম্যাচের নবম মিনিটেই লিড নিতে পারতো তিন যুখ পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডা।

শুরুতেই ফাউল করে বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার হলুদ কার্ড দেখেন। পেনাল্টি পায় কানাডা। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে মেরেও মিস করেন আলফোনসো ডেভিস। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন কর্তোয়া। বিশ্বকাপে পেনাল্টি রুখে দেওয়া রেকর্ড গড়েছেন কর্তোয়া। বেলজিয়ানদের হয়ে ১৯৬৬ সালের পর কোনো গোলরক্ষক তার মতো গোল বাঁচাতে পারেননি।

ম্যাচে ২১টি শট নিয়েছিল কানাডা, একটিও লক্ষ্যভেদ হয়নি। অন্যদিকে মাত্র ৯টি শট নেয় বেলজিয়াম। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। তারা ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখে। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ থেকে কানাডাই প্রথম দল যারা ২০টি বেশি শট ও ১টি পেনাল্টি পেয়েও কোনো গোল করতে পারেনি।

বেলজিয়ামরা জিতলেও এই জয় নিশ্চিতভাবে তাদের স্বস্তি দেবে না। ডেভিসদের গতির সামনে তাদের অসহায় লেগেছে। বারবার বল হারিয়েছে। ডিফেন্স ছিল নড়বড়ে। বড় কোনো দলের বিপক্ষে এমন হলে পয়েন্ট পাওয়া কষ্টকর হতো। এক কর্তোয়াতো আর প্রতিদিন বাজপাখি হতে পারবেন না!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত