স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ২২:২৯

৪-১-৯-২, দুর্দান্ত মুস্তাফিজ

চলতি আইপিএলের শুরু থেকেই বল হাতে চমক দেখিয়ে আসছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। তবে শনিবার রাতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেরা বোলিংই করলেন তিনি। যা চলতি আইপিএলেরও সেরা বোলিং ফিগার, সেরা ইকোনোমি রেট।

চার ওভার বল করে মুস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ৯ রান। এর মধ্যে তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। আবার প্রথম ওভারটি ছিল মেডেন। সত্যিই অসাধারণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের এই কাটার বিস্ময় পেসারের। আগে ব্যাট করতে নেমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব করেছে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান। জয়ের জন্য মুস্তাফিজদের দরকার ১৪৪ রান।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুরালি বিজয়ের উইকেট হারায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। দলীয় ১৪ রানের মাথায় ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ওঝার গ্লাভসে ক্যাচ দেন তিনি (তিন বলে দুই রান)। দ্বিতীয় উইকেটে মানান ভোহরা ও শন মার্শ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে এসে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। এই ওভারটিতে কোন রানই দেননি মুস্তাফিজ। পঞ্চম বলে রান আউট হন ২৩ বলে ২৫ রান করা ভোহরা।

এরপর দ্রুতই বিদায় নেন ভয়ংকর দুই ব্যাটসম্যান মিলার ও ম্যাক্সওয়েল। এই দুজনকেই আউট করেন ময়েসে হেনরিকস। মিলার ১১ বলে ৯ রান ও ম্যাক্সওয়েল ২ বলে এক রান করে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

কিংস ইলেভেনের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান মুস্তাফিজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারটিও ছিল অসাধারন। প্রথম ওভার মেডেন হলেও দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজ দেন মাত্র এক রান। বিনিময়ে পান একটি উইকেটও। ১৩.৩ ওভারে শন মার্শকে এলডিডব্লিউর শিকার বানান মুস্তাফিজ। দুর্বোধ্য কাটার বুঝতেই পারেননি মার্শ। ৩৪ বলে ৪০ রান করে ফেরেন তিনি। যে ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কার মার। পাঞ্জাবের হয়ে ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে ওঠা মার্শকে সাজঘরে ফিরিয়ে হায়দরাবাদ শিবিরে স্বস্তি আনেন মুস্তাফিজ।

তৃতীয় ওভারে দুই রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। তবে চতুর্থ ও ইনিংসের শেষ ওভারে ছয় রান দিলেও পেয়েছেন একটি উইকেট। ২৮ বলে ২২ রান করা নাইকিকে হেনরিকসের হাতে শিকার বানান তিনি। পাঞ্জাবের হয়ে ১৭ বলে শেষের দিকে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।

হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান মুস্তাফিজ। সেখানে হেনরিকস চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান সমান দুটি উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার পেয়েছেন এক উইকেট, তবে তিনি রান দিয়েছেন চার ওভারে ৩৭। অন্যদিকে স্রান ৪ ওভারে ৩৩ ও হুদা চার ওভারে ৩০ রান দিলেও পাননি কোন উইকেটের দেখা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত