স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ আগস্ট, ২০১৬ ০৩:৫৮

হন্ডুরাসকে ৬ গোল দিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল

রিও অলিম্পিক ২০১৬

ম্যাচ শুরুর আগে হন্ডুরাসকে নিয়ে অনেক আলোচনা থাকলেও ম্যাচ শেষে থাকে নি তার ছিটেফোঁটাও, কারণ ব্রাজিল তাদের জালে ৬ বার বল পাঠিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে। অথচ হন্ডুরাসের এই দলটিই আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দিয়েছিল ঠিক আগের ম্যাচেই।

ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়ার শুরুটা করেন নেইমার। ম্যাচের মাত্র ১৫ সেকেন্ডে গোল করে রেকর্ড গড়েন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। এরপর গোল আর গোল, এ যেন গোল উৎসব!

ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে দুই অর্ধে হন্ডুরাসের জালে তিনবার করে বল পাঠায় ব্রাজিল।

৬-০ ব্যবধানের জয়ে ব্রাজিলের পক্ষে দুটি করে গোল করেন নেইমার ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন মারকুইনিয়োস ও লুয়ান।

কানায় কানায় পূর্ণ মারাকানায় ভক্তদের উল্লাসে মাতিয়ে শুরুতেই ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন নেইমার। কিছু বুঝে উঠার আগেই অসাধারণ দক্ষতায় হন্ডুরাসের জালে বল পাঠান বার্সেলোনার এই তারকা ফরোয়ার্ড। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৫ সেকেন্ড!

ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। অফ সাইডের ফাঁদ ভেঙে দলকে এগিয়ে নেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তি করা জেসুস। তার এই গোলে দারুণ অবদান ছিল ম্যাচ জুড়ে চমৎকার খেলা নেইমারের।

 ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া হন্ডুরাসের আক্রমণ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। গোলের জন্য মরিয়া হয়েই পরের গোলগুলো হজম করে তারা। প্রতি-আক্রমণ থেকে একের পর এক গোল তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

৩৫তম মিনিটে অফ সাইড ফাঁদ ভেঙে ব্যবধান বাড়ান জেসুস।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুয়ানের একটি প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন হন্ডুরাসের গোলরক্ষক। তবে স্বাগতিকদের বেশিক্ষণ ঠেকাতে পারেননি তিনি। কর্নার থেকে ৫১তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোল করেন মারকুইনিয়োস।

লুয়ান ৭৯তম মিনিটে দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন। যোগ করা সময়ে তাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। তা থেকে গোলরক্ষককে বিভ্রান্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত