সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:১৫

‘শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়াটা রিয়ালের ডিএনএর মধ্যেই আছে’

মন্ত্রটা নাকি রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএর ভেতরেই আছে। খেলা শেষ না করেই হেরে যেও না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই কর, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে।

এই জাদুমন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়েই লড়ে যায় ব্লাঙ্কোরা। একেবারে শেষ পর্যন্ত। ম্যাচের আরও কয়েক সেকেন্ড বাকি! ক্ষতি কী! এই কয়েক সেকেন্ডেও তো হয়ে যেতে পারে যেকোনো কিছুই।

শনিবার রাতে এই ব্যাপারটাই নতুন করে দেখল ফুটবল-রোমান্টিকরা। রিয়াল মাদ্রিদ শেষ রক্ত-বিন্দু দিয়ে লড়ে যায়। চেষ্টা করে যায় যতক্ষণ পর্যন্ত না সফল হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত। ন্যু ক্যাম্পে এমন মন্ত্রেই হারা ম্যাচটা কী দুর্দান্তভাবেই না বাঁচিয়ে আসল মাদ্রিদিস্তারা।

সার্জিও রামোসের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম নয়। অনেকবারই তিনি রিয়ালের ত্রাণকর্তা হয়েছেন শেষ মুহূর্তে। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কথা ভুলে যাওয়ার কোনো কারণই নেই। অ্যাটলেটিকো শিবিরে তখন প্রথমবারের মতো ইউরোপ-সেরা হওয়ার উৎসবটা প্রায় শুরু হয়েই গেছে। ম্যাচের গড়িয়ে চলে এসেছে শেষ মুহূর্তে। নিশ্চিত পরাজয়ের বেদনা যখন রিয়ালকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে, ঠিক তখনই রামোসের গোল। সেই গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এই মৌসুমেই ইউরোপিয়ান সুপার কাপে সেভিয়ার বিপক্ষেও শেষ মুহূর্তে ছিল সেই জাদু।

কাল ন্যু ক্যাম্পে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে দুই বছর আগের সেই স্মৃতিটাই নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছিলেন রামোস। রিয়াল এ রকম অনেকবার ফিরে এসেছে ম্যাচে।

রিয়ালের এমন শক্তির রহস্যটা রামোস ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন সবাইকে, ‘রিয়ালের ডিএনএটাই এমন যে আপনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যেতে বাধ্য। আপনাকে সব সময় জয়ের আসা ম্যাচে ফেরার আশাটা মনের মধ্যে লালন করে যেতেই হবে।’

বার্সেলোনা কাল জিতলে পয়েন্টের ব্যবধানটা কমে দাঁড়াত তিনে। কিন্তু রামোসের গোলে বার্সাকে জয়-বঞ্চিত করে পয়েন্টের পার্থক্যটা ছয়ই রাখল রিয়াল। তবে রামোস ব্যাপারটি নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত নন, ‘আমরা মৌসুমের শুরু থেকেই সবকিছু ঠিক রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের খুব আহ্লাদিত বা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। ৬ পয়েন্ট মানে দুটি খেলা। আমাদের এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।’
সূত্র: এএফপি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত