স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ মে, ২০১৭ ১৭:১৩

গ্রানাডাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল প্রথম পর্বেই ফাইনালটা প্রায় নিশ্চিত করে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। চার দিন পর লা লিগায় গ্রানাডার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় ৫ বছর পর লিগ শিরোপা জয়ের পথে বেশ ভালোভাবেই রাখছে জিদানের দলকে। আর ৭ পয়েন্ট পেলেই ২০১২ সালের পর লিগ শিরোপা নিশ্চিত হবে জিনেদিন জিদানের দলের।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে যে দলটা খেলেছিল, সেটি প্রায় বদলে দিয়েই গ্রানাডার বিপক্ষে কাল দল নামিয়েছিলেন কোচ জিদান। রিয়ালের বেঞ্চের শক্তি কতটা, সেটি আবারও প্রমাণিত হলো কাল। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মধ্যেই হামেস রদ্রিগেজ আর আলভেরো মোরাতার জোড়া গোলেই জয়টা নিশ্চিত করে ফেলে তারা।

রদ্রিগেজের প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই। লুকাস ভাসকেজের ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ১১ মিনিটে রিয়ালকে আবারও এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। এই গোলটিও হেড থেকে। ক্রসটি অবশ্য করেছিলেন ফ্যাবিও কোয়ানত্রাও। রিয়ালের জার্সিতে সর্বশেষ ৪ ম্যাচে এটি ছিল রদ্রিগেজের পঞ্চম গোল।

আলভারো মোরাতা স্কোরলাইন ৩-০ করেন ৩০ মিনিটে। দানিলোর কাট ব্যাক থেকে দারুণ শটে গোলটি করেন মোরাতা। ৩৫ মিনিট মোরাতার দ্বিতীয় গোলে ৪-০-তে এগিয়ে যায় রিয়াল। গোলটি ছিল মোরাতার এক প্রচেষ্টার। ডি বক্সের ডান দিকে বল ধরে তা টেনে নিয়ে গ্রানাডার এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জালে ঠেলে দেন বল।

বাকি সময়টা একচেটিয়াই খেলেছে রিয়াল। সুযোগ নষ্ট করেছে কমপক্ষে চারটি। বিরতির আগে গোল পেতে পারতেন ভাসকেজ ও কাসেমিরো। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দানিলোর একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। এর কিছু পরেই ভাসকেজকে গোলবঞ্চিত করেন গ্রানাডা গোলকিপার ওচোয়া।

রিয়ালের আগেই মাঠে নামা বার্সেলোনা ভিয়ারিয়ালকে ৪-১ গোলের হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গিয়েছিল। দুই ঘণ্টা পরেই গ্রানডার বিপক্ষে জয়ে সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলল রিয়াল। ৩৬ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৮৪, এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্টও ৮৪।

মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে দলের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কোচ জিদান। জিদানের ভাষায় দল এখনো ‘নিখুঁত ফুটবলটা’ খেলতে পারেনি, ‘গত নয় মাসে আমরা খুবই ভালো খেলেছি। তবে এখনো “নিখুঁত ফুটবলটা” খেলা বাকি। চ্যাম্পিয়নস লিগ-সেমির দ্বিতীয় লেগ কিংবা লিগের বাকি তিন ম্যাচ নিখুঁত ফুটবল খেলতে চাই আমরা। লিগের বাকি তিনটি ম্যাচই তো ফাইনাল।’

খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর নীতিটা যে ভালোই কাজ করছে, সেটা বুঝতে পারছেন রিয়ালের ফরাসি কোচ। খেলোয়াড়দের টানা খেলিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি যে দলের জন্য শুভ নয়, সেটি জানালেন তিনি, ‘যদি কোনো খেলোয়াড়কে মৌসুমজুড়ে টানা খেলিয়ে যান, তাহলে শেষের দিকে এসে সে খেলোয়াড় সবকিছু নিঃশেষ হয়ে যায়। তার আর কিছুই দেওয়ার থাকে না। আমরা সেই পথে হাঁটিনি। হাঁটিনি বলেই শারীরিকভাবে আমাদের খেলোয়াড়েরা শক্তিশালী। মৌসুমের শেষে এসে এর চেয় শুভ সংবাদ আর হয় না।

কালকের ম্যাচে মাঠে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, টনি ক্রুস, মার্সেলো ও গোলকিপার কেইলর নাভাস। চোটের কারণে আগে থেকেই তো মাঠের বাইরে গ্যারেথ বেল।’
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স

আপনার মন্তব্য

আলোচিত