স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০১৭ ১৪:১৪

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধই থাকছেন শ্রীনিবাসন

গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিলেন। পরিকল্পনা করছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিসিআই) নতুন করে নিজের প্রভাব খাটানোর। দক্ষ দাবাড়ুর মতো এক চাল চেলেছিলেন এন শ্রীনিবাসন। তবে তাঁর এক ঘর বাড়িয়ে দেওয়া গুটিটা খেয়ে ফেলেছেন আদালত। আবারও শ্রীনি ব্যাকফুটে। সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে ভেস্তে গেছে শ্রীনিবাসনের সব পরিকল্পনা।

ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে একধরনের জট পাকিয়ে উঠেছে। যেটিকে আরও বেশি জটিলতা দিয়েছে কোচ নিয়ে চলা অদ্ভুত সব নাটক। যেন বোঝাই যাচ্ছিল না, বোর্ড বা দেশটির ক্রিকেট আসলে কে চালাচ্ছে। এরই মধ্যে শ্রীনি আর নিরঞ্জন শাহদের নিয়ে আবারও নিজের রাজ্যপাট ফিরে পাওয়ার একটা চেষ্টা করেছিলেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। ২৬ জুন অতি গুরুত্বপূর্ণ সভাটি যে একেবারে পণ্ড হলো, অন্তর্বর্তী কমিটি এর দায় দিয়েছে শ্রীনি ও নিরঞ্জনকে। সেই সভাটি এই দুজন ‘ছিনতাই’ করেছিলেন কি না, এমন শিরোনাম দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।

লোধা কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করে বাকিগুলো বাতিলের জন্য একটি উদ্যোগ চলছে বোর্ডের ভেতরে। শ্রীনি এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বোর্ড সদস্যদের অধিকাংশের রায়ও তা-ই। ভারপ্রাপ্ত কমিটি তাই আবারও দ্বারস্থ হয়েছে আদালতের। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সত্তরের ওপরে বয়স হওয়ায় বিসিসিআই বা রাজ্য সংস্থার কোনো পদে থাকতে পারবেন না সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসন। কেবল শ্রীনিই নন, সত্তরের বেশি বয়সী যেকোনো সংগঠকের জন্যই একই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।

আগামীকাল বিসিসিআইয়ের যে বিশেষ সাধারণ সভা হওয়া কথা আছে, সেখানে অংশ নিতে চেয়েছিলেন শ্রীনিবাসনের মতো সাবেক কর্তারা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই সভাতেও অংশ নিতে পারবেন না শ্রীনিরা। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কালকের সভায় লোধা কমিশনের অনেকগুলো সুপারিশকে একেবারে আইসিইউতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে ফেলা হয়েছিল।

তবে এর মধ্যে শ্রীনি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী কমিটি আদালতের সামনে তাঁকে যেভাবে উপস্থাপন করছে, তা স্রেফ অনুমাননির্ভর ও ভ্রান্ত। তবে তিনি যে দাবিই করুন না কেন, এটা স্পষ্ট, শ্রীনি ও নিরঞ্জনের মতো বাতিল হয়ে যাওয়া ক্রিকেটের ক্ষমতাধর কর্তাব্যক্তিরা যেকোনোভাবে আবার ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে চান। বোর্ড সদস্যদেরও ধীরে ধীরে নিজেদের পক্ষে ভেড়াচ্ছেন এঁরা। সভায় এঁদের উপস্থিতি ঠেকাতে তাই আদালতের কাছে গিয়েছিল অন্তর্বর্তী কমিটি।

যদিও ভারতের সাধারণ ক্রিকেট-সমর্থকদের মধ্যেও শ্রীনি ঠিক জনপ্রিয় চরিত্র নন। শ্রীনিবাসন বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকার সময়ই স্পট ফিক্সিংয়ে কলঙ্কিত হয় ভারতের টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল। ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় শ্রীনির জামাতার নাম। শ্রীনির মালিকানাধীন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় আইপিএল থেকে।

আইসিসির সভাপতি হয়েও বিতর্কে জড়ান দক্ষিণ ভারতের শ্রীনি। ২০১৪ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে বিতর্কিত ‘তিন মোড়ল’ নীতি তৈরিতেও শ্রীনির মুখ্য ভূমিকা ছিল।
সূত্র: এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত