স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:৪৭

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য মুশফিকদের!

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার মতো একটা কল্পনার বাইরের ব্যাপারের সামনে দাড়িয়ে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে। ভালো লাগা আছে খুব। কিন্তু সবার আগে দল। আরো বড় ব্যাপার প্রস্তুতি। মুশফিকুর রহিমের দাবি, অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করতে তৈরি তার দল! সবদিক থেকে!

কি কাণ্ডটাই না তাহলে হবে! কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাড়াতে জানে। মিরপুরে হেরে দেয়ালে ঠেকে আছে তাদের পিঠ। আবার চট্টগ্রামে গত দুদিনের বৃষ্টি সোমবার শুরু টেস্টকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু মুশফিকদের রণকৌশলের পেছনে উইকেট তো অনেক বড় এক ব্যাপার। সেটা মুশফিক-হাথুরুদের ইচ্ছেমতো তৈরি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির পর দ্রুত খেলা শুরু করা যায়। এটা বাড়তি সুবিধা। ৫ দিনের ম্যাচ বৃষ্টির কবলে পড়লেও বাংলাদেশের জন্য চারদিনের কম সময়ও যথেষ্ট!

চমকে গেলেন? সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের কথাটা শুনুন তাহলে, ‘আমরা তো চাইবো খেলেই সিরিজ জিততে পারি। আর এর চেয়ে বড় কিছু আসলে হয় না। চট্টগ্রামের পানি নিষ্কাশন এতো ভালো তুমুল বৃষ্টির পরও আধ ঘণ্টার মধ্যে এখানে খেলা শুরু হয়ে যায়। এখানে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখেছি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে দেখেছি, দারুণ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। আমার মনে হয়, যদি অন্তত তিনদিনও, সাড়ে তিনদিনও খেলা হয়, খুব ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ হবে। আমি মনে করি যে ঢাকার মতো একটা রোমাঞ্চকর একটা টেস্ট ম্যাচ হবে।’

এই কথার মাঝে হয়তো সরাসরি অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার কথাটা নেই। কিন্তু ঢাকাতে তো সাড়ে তিনদিনেই ঘটনাটা ঘটিয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। সুতরাং প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে মুশফিক ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়ে যান তার ২-০ এর লক্ষ্যের কথা, ‘এখানে সেইফ সাইডে যাওয়ার তো কোনো আশাই নেই। আগেই বলেছি, আমাদের এখানে যে দলই আসুক  আমরা জয়ের জন্য খেলি। আমরা তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ফ্ল্যাট উইকেট বানিয়ে সিরিজ ড্রয়ের জন্য খেলতে পারতাম কিন্তু আমরা সেটা করিনি। আমরা  চেষ্টা করেছি আমাদের স্ট্রেন্থ অনুযায়ী সেই অ্যাডভান্টেজ নিয়ে চেষ্টা করে দেখি ফল আসে নাকি। আল্লাহর রহমতে সেটা এসেছে। যদিও কাজটা খুব কঠিন।' মুশফিক বলে যান, ‌‌'প্রথম টেস্টের আগেও আমি বলেছি, আমাদের চেষ্টা থাকবে প্রতিটা ম্যাচ জয়ের। অবশ্যই ২-০ করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। এখানে সেইফ বলতে কোনো অপশন নাই। আপনি যতই সেইফ খেলেন না কেন এমন দলের সঙ্গে কখনও জিততে পারবেন না। ওরা যতই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলুক আমরা তার চেয়ে বেশি ভালো ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো। পাল্টা-আক্রমণ করে খেলার চেষ্টা করবো।’

উইকেট নিয়ে স্টিভেন স্মিথরা চিন্তিত স্বাভাবিক। তবে জানেন, তাদেরও তিন স্পিনার খেলাতে হতে পারে। ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে একাদশটা তারা ঘোষণা করেনি এদিন। কিন্তু বাংলাদেশ তো খুব জানে উইকেটটা তাদেরই! সুতরাং, বৃষ্টির দুর্ভাবনা থাকলেও মুশফিকের কিন্তু চাওয়া মতো উইকেট মিলে গেছে। ‘উইকেট (দুটি) মোটামুটি তৈরি ছিল। দেখলাম কোন উইকেট কমেন হতে পারে। একেক উইকেট একেক ধরণের হয়ে থাক। বৃষ্টির জন্য এখানে একটা উইকেট একটু অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকতে পারে (বৃষ্টির জন্য) গত দুই-তিনদিন ধরে তারা সেভাবে কাজটা করতেও পারছে না। সেদিক থেকে একটে দেখা। যেভাবে আমরা বলেছি সেভাবেই উইকেট বানানো হয়েছে। আমরা উইকেট নিয়ে খুশি।'
 
তবে অধিনায়ক সতীর্থদের একটি কথা মনে করিয়ে দিয়ে থামলেন, ’উইকেট যেমনই হোক মাঠে আমাদের নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা মনোযোগী আছি।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত