০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৭:৪৭
সাকিব, তামিম না পারলে কী হয় বাংলাদেশের?
যারা এই প্রশ্ন নিয়ে হৈ-চৈ করেন তাদের জন্য চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন একটি জবাব। ১১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েও বাংলাদেশের পরিণত ব্যাটিং লাইনআপ ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে দারুণভাবে। সেই তালিকায় সাব্বির, মুশফিকের নাম যেমন আসবে, তেমনি আসবে সৌম্য, মুমিনুলের নামও। নাথান লায়নের ঘূর্ণিপাক এড়িয়ে তাদের ব্যাটে ভর করে প্রথম দিন ২৫৩ রান সংগ্রহ করে থেমেছে বাংলাদেশ। হাতে চার উইকেট। দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন, মুশফিক (৬২) -নাসির (১৯)।
মুশফিক টস জিতে ব্যাট নেয়ার পর দেখেশুনে শুরু করেন তামিম, সৌম্য। কামিন্স আগের টেস্টের মতো শুরুতে ফণা তুলতে পারেননি। নাথান লায়ন বারবার বিভ্রান্ত করেছেন। তিনি আক্রমণে আসলে সতর্ক ব্যাটিং করেও টিকতে পারেননি তামিম ইকবাল (৯), ইমরুল কায়েস (৪) এবং সৌম্য সরকার (৩৩)। দিনের প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭০। সবকটি উইকেট ওই লায়নের।
ম্যাক্সওয়েল এদিন সপ্তম ওভারের প্রথম বলে স্লিপে তামিমকে জীবন দেন। কামিন্সের করা শর্ট অফ লেন্থের বলে ব্যাট দিতে যেয়ে কানায় লাগান দেশসেরা ওপেনার। বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। ম্যাক্সওয়েল ঠিকমতো নিতে ব্যর্থ হন।
এরপর দশম ওভারের প্রথম বলে সহজাত ভঙ্গিতে একটু উঠে এসে লায়নকে মোকাবিলা করতে যেয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। চার ওভার বাদে সুইপ করতে যেয়ে পায়ে লাগান ইমরুল। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ডিফেন্স করতে যেয়ে এলবি হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকেও।
সিরিজ জয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন ছিল। একাদশে ফেরেন বহুল আলোচিত মুমিনুল হক। বাদ পড়তে হয়েছে শফিউল ইসলামকে।
সেই মুমিনুল দারুণভাবে শুরু করেন। লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৬৭ বলে ৩১ করে যান। সৌম্যর সঙ্গের ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। অ্যাগারের বলে ওয়েডকে ক্যাচ দেয়ার আগে সাকিব করেন ২৪। পরের লড়াইটা সাব্বির-মুশফিকের।
পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাব্বির উইকেটে আসেন। রিস্ট রোল করে মাটিতে খেলেছেন। বাউন্ডারি পাওয়া শটগুলোতে ছিল বাড়তি মনোযোগের ছোঁয়া। মাঝে মাঝে কেতাবি ডিফেন্স। ৬২ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো এই সাব্বির যেন নিখাদ টেস্ট খেলুড়ে। দুর্ভাগা সাব্বিরকে (৬৬) ফিরতে হয় স্টাম্পিং হয়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পাননি। তাকে আউট ঘোষণা করতে থার্ডআম্পায়ারকে পর্যন্ত বেগ পেতে হয়েছে। পপিং ক্রিজে পা ছিল কি ছিল না, সেই দ্বিধা ওই রিপ্লে দেখেও অনেকের কাটেনি। সাব্বির ফেরার সময় মুশফিকের সঙ্গে জুটিতে ১০৫ রান যোগ করে যান। এই জুটিই মূলত বাংলাদেশকে স্বস্তিতে দিন শেষ করতে সাহায্য করেছে।
আপনার মন্তব্য