নিউজ ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৫:০৬

‘একটা ব্রেক তো নিতেই পারি’

আর মাত্র ৩দিন পরই দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমানে উঠবে বাংলাদেশ দল। এর আগেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের বিশ্রাম নিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। সত্যিই কি তার বিশ্রামের দরকার ছিল- এমন প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন,  এসময় তিনি বলেন, আমি মনে করি আমার বিশ্রাম চাওয়া আন ইথিক্যাল কিছু হয়নি। আমার শরীরের বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি। আমার ভেতরে কি আছে আমি জানি।

তিনি আরো বলেন, টানা কয়েক বছর খেলতে খেলতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি এসেছে, রিফ্রেশ হওয়ার জন্যই টেস্ট থেকে একটা ব্রেক তো নিতেই পারি। কারণ আমি আরও ৬/৭ বছর নির্বিঘ্নে ক্রিকেট খেলতে চাই। তাই এই বিশ্রাম দরকার ছিল। এই ব্রেকের পর আমি আরও চাঙ্গা হয়ে ফিরব বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন তো নয় যে ১-২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, ১০-১১ বছর ধরে খেলছি। একটা বিশ্রামতো নিতেই পারি। এমন না যে আমি ক্রিকেটই ছেড়ে দিচ্ছি। টেস্ট ম্যাচ থেকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নিয়েছি মাত্র কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবো।

সাকিবের অনুপস্থিতি দলে প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি জানি আমার থাকা না থাকায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। দুনিয়াতে কারও জন্য কিছু পড়ে থাকে না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টে বাংলাদেশের জন্য কঠিন সিরিজ হবে। ওয়ানডেতে ভালো করার সুযোগ আছে। আর টি-টুয়েন্টির কথা বলা মুশকিল। তবে আমাদের টিম ভালো। আশা করি বাংলাদেশ ভালো করবে।

ছুটিতে সময় কাটানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাবো। আড্ডা দেব। ঘুরতে যাবো। যেহেতু আবার ওডিআই-টি-টোয়েন্টি আছে, তার জন্য প্রস্তুতি নেব।

প্রসঙ্গত, রোববার সাকিব আল হাসান বিসিবি সভাপতি বরাবরে টেস্ট ক্রিকেট থাকে কয়েকদিনের বিশ্রাম চেয়ে এক আবেদন করেন। আর তাই সাকিবের করা এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে দুই টেস্টের জন্য বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন সিদ্ধান্ত বদলালে দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টের জন্য সাকিবের দরজা খোলা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত