স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:৩৩

ব্রিটিশ মিডিয়াকে বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ মদরিচের

সেই ১৯৬৬ সালে একবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর প্রতিবার বিশ্বকাপ এলেই ব্রিটিশ মিডিয়া তাদের দলকে আগেভাগে বিশ্বকাপ পাইয়ে দেয়। বরাবরের মত এবারও এর ব্যতিক্রম হয় নি। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগে কিছুটা নিরব ছিল তারা, তবে শেষ ষোলোতে ইংলিশরা ওঠার পর খেলোয়াড়দের হাতে বিশ্বকাপ তুলেই দিয়েছিল প্রায়। সেমিফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়াকে ধুয়ে দিয়েছিল তারা। আর এনিয়ে ক্ষেপেছেন লুকা মদরিচ।

ক্রোয়াট অধিনায়ক ব্রিটিশ মিডিয়াকে বিনয়ী ও প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। ব্রিটিশ ফুটবলপণ্ডিতেরা সেমিফাইনালের আগে তাই মদরিচ-রাকিতিচদের ‘ক্লান্ত’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। মজার ব্যাপার, সেমিফাইনাল টাইব্রেকারে না গড়ালেও অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়েছে। আর ১২০ মিনিটের এই লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়া জিতেছে পেছন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে। ৩২ বছর বয়সী মদরিচ ইংলিশদের সমালোচনাটা যে প্রেরণা হিসেবেই নিয়েছিলেন, সেটি বলাই বাহুল্য। প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকলেও বিরতির পর ঠিকই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার।

ফাইনাল নিশ্চিতের পর তাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে স্রেফ ধুয়ে দিয়েছেন মদরিচ। ‘বেইন স্পোর্টস’কে তিনি বলেন, ‘এই (সেমিফাইনাল) ম্যাচের আগে তাদের সাংবাদিক ও টিভি-পণ্ডিতেরা আমাদের ক্লান্ত বলেছে। যেন খাটতে খাটতে শেষ! এ কথাগুলোই আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে ওদের ভুল প্রমাণ করতে। তাদের উচিত আরেকটু বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল (প্রতিপক্ষের প্রতি) হওয়া।’

ব্রিটিশ মিডিয়া হেসে লিনগার্ডকে রোনালদিনহোর সঙ্গে তুলনা করেছে! সেমিফাইনালের আগে জর্ডান পিকফোর্ডকে ‘বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক’-এর তকমাও দিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

স্বাধীন দেশ হিসেবে ক্রোয়েশিয়া প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছে ১৯৯৮ টুর্নামেন্টে। সেবার অভিষেকেই সেমিফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েছিলেন ডেভর সুকার, জভেনিমির বোবান আর রবার্ট প্রসিনেস্কিরা। ২০ বছর পর ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে তাদের সেই অর্জনকে ছাপিয়ে গেলেন মদরিচ-রাকিতিচরা।

মদরিচ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন এভাবে, ‘সেমিফাইনালে ক্লান্ত হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, এটা কোন পর্যায়ের ম্যাচ, সেটা সবাই বোঝে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে কেউ আমাদের গোনায় ধরেনি। কিন্তু দলীয় সংহতি, লড়াই করার ইচ্ছা আর যোগ্যতা দিয়েই আমরা ফাইনালে উঠেছি। এ জায়গাটা আমাদের প্রাপ্য।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত