ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৪ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:১৭

বাজে ব্যাটিংয়ে ম্লান তাইজুলের সাফল্য

সকালের মিষ্টি রোদের সঙ্গে তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণি, দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের দাপট। দ্বিতীয় সেশনে হতশ্রী ব্যাটিং। সকালের সাফল্য ম্লান ভরদুপুরে। আর শেষ বিকেলটা আরও বিবর্ণ, আরও বিষণ্ণ। সিলেটে দুঃস্মৃতির মতো দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক দলের ড্রেসিং রুমে যেখানে বেদনার সুর সেখানে জিম্বাবুয়ের ড্রেসিং রুমে উল্লাস, বড় কিছু পাওয়ার আনন্দ।

কেননা জিম্বাবুয়ের ২৮২ রানের জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থমকে যায় ১৪৩ রানে। ১৩৯ রানের লিড পাওয়া অতিথিরা দ্বিতীয় দিন শেষে এগিয়ে ১৪০ রানে। এদিকে জিম্বাবুয়েকে ২৮২ রানে বেঁধে রাখার পেছনে যার সবচাইতে বেশি অবদান তিনি হলেন তাইজুল। আগের দিনের ২ উইকেটের সাথে দ্বিতীয় দিন যোগ করে আরো ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে নেন মোট ৬টি উইকেট।

রোববারের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বাঁহাতি এই স্পিনার জানান, নিজের অর্জনের চেয়ে দলের অবস্থা তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

“সাড়ে তিন বছর পর পাঁচ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো। পাঁচ উইকেট-ছয় উইকেট সবসময় আসে না। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমি দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাইব। দল ভালো করলে ভালো লাগবে।”

তাইজুল জানান, সিলেট টেস্টের উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য কোনো বাড়তি সহায়তা নেই। সাফল্য এসেছে ভালো জায়গায় টানা বোলিং করে যাওয়ায়।

“উইকেট ফ্ল্যাট হলে ডিসিপ্লিনড বোলিং করতে হয়। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বেশি জায়গা না দিয়ে বোলিং করতে হয়। আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি।”

প্রসঙ্গত, তাইজুলের ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেটের দুইটা এলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর আগে ২০১৪ সালে মিরপুরে ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। ক্যারিয়ারে ওটাই তার সেরা বোলিংয়। ২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংস্টনে তাইজুল প্রথম ৫ উইকেট পান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত