নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০২০ ১৯:৫৫

সিলেটে রোগী বাড়ছে, সড়কে ভিড়ও বাড়ছে

নভেল করোনাভাইরাস

সিলেট দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা্ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছেন অনেক রোগী। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এমন আহ্বান উপেক্ষা করেই সিলেটে রাস্তাঘাটে যানচলাচল ও জনসমাগম বেড়েই চলছে।

বুধবার নগরীর অনেক স্থানে রীতিমত যানজট লেগেছিলো। এমন চিত্র দেখা গেছে চলতি সপ্তাহের পুরোটা জুড়েই।

গত সপ্তাহ থেকেই নগরীর দোকানপাট ও কিছু শপিং মল খুলতে শুরু করে। এসব দোকানে কেনাকাটা করতেও ভিড় করছেন অনেকে। মানুষের এই অবাধ বিচরণ এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলার কারণে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৯ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছেন সিলেট জেলায়। এই জেলায় মোট ১৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন



সাধারণ ছুটি চলমান থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ১০ মে থেকে সীমিত আকারে শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। প্রথম অবস্থায় সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা মিলে সকল শপিংমল ও দোকানপাট ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে কিছু শপিংমল ও অনেক দোকানপাট খোলা হয়।

এতে করে নগরীতে বাড়তে শুরু করে যান চলাচল। নগরীর বাসিন্দারাও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর মাসখানেক নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে জনসমাগম। চলতি সপ্তাহে এসে তা অনেকটাই পুরনো রূপ নিয়েছে।

বুধবার দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার, লালদিঘীর পাড়, কালিঘাট, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ওইসব এলাকায় যানবাহনের চাপে পুরো যানজট লেগে আছে। ফুটপাতেও মানুষের ভিড়।

রিকশায় করে জিন্দাবাজার থেকে বন্দরবাজারের দিকে যাওয়া যুবক শিপলু রহমান বলেন, ঈদের আগেই আজ শেষ ব্যাংকিং। তাই ব্যাংকে কিছু জরুরি কাজ করতে বেরিয়েছিলাম।

হাসান মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। এমনিতেই বাচ্চারা ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে মন খারাপ করে আছে। ঈদে নতুন কাপড় পেলে তাদের মন কিছুটা ভালো হবে।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য অধিপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ঘরে থাকাই এখন পর্যন্ত এই রোগ এড়ানোর সবচেয়ে বড় পন্থা। কিন্তু লোকজনকে আর ঘরে রাখা যাচ্ছে না। এদিকে সিলেটে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এভাবে মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে ঈদের পরে আরও দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত