তাহিরপুর প্রতিনিধি

২১ মে, ২০২০ ১৪:১৮

সংস্কার হলে শিমুলতলা মসজিদ নজর কাড়তে পারে সবার

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে সমহিমায়। এই মসজিদটি সবার চোখের আড়ালে অজপাড়াগায়ে স্থাপিত হওয়ায় তা নজর কাড়েনি কারো। তবে মসজিদে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটের মত এই মসজিদটিও সবার নজর কাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদটিতে রয়েছে তিনটি বড় গম্বুজ, আটটি পিলার। সাথেই রয়েছে একটি সুউচ্চ মিনার। মিনারটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আর মসজিদের আটটি পিলারের মধ্যে একটি পিলার ও সামনের উপরের দিকে কিছু অংশ ভেঙে পড়ে গেছে। মসজিদটি পুরনো হওয়ায় তিনটি গম্বুজের একটির কিছু অংশে ধরেছে ফাটল। মসজিদের ভিতরের উপরে গম্বুজ ও গম্বুজ সংলগ্ন কারুকাজ ব্রিটিশ আমলে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত মসজিদটিতে তখনকার শিল্পীদের দৃষ্টি নন্দন কারুকাজ দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৩-৪৪ সালে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। আর মসজিদটি তৈরি করতে মসজিদের পাশেই ইটের ভাটা তৈরি করে ইট আর চুনাপাথরের সংমিশ্রণে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তৎকালীন সময়ের তালুকদার পরিবার। নির্মাণের ৭৭ বছরেও এটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।

এই মসজিদে প্রায় ৩০০ মানুষ এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারে।

সমাজসেবক মাসুক মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, শফিকুল, জমির মিয়া জানান, প্রাচীন ও দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটির মতো উপজেলার আর কোনও মসজিদ নেই। মসজিদটিকে মেরামত করে আধুনিকভাবে আকর্ষণীয় করতে পারলে টাঙ্গুয়ার হাওর, শিমুল বাগান, যাদুকাটা নদী, বারেকটিলাসহ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোর মতো এই মসজিদটিও সবার কাছে আকর্ষণীয় হবে।

উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, শিমুলতলা মসজিদটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ও দৃষ্টিনন্দন। মসজিদটিকে আধুনিকায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংস্কার করা হলে সবার নজর কাড়বে।

তাহিরপুর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, ছোট বেলায় মসজিদটির পাশে শিমুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি। মসজিদটি উপজেলার সুপ্রাচীন, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণ। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই মসজিদটিকে সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়ন করার জন্য আমি আমার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত