নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ মে, ২০২০ ১৯:১৪

যেভাবে ঈদ কাটছে নাদেল-আজাদের

করোনসংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দুজনই ছিলেন মানুষের কাছাকাছি। খাদ্য ও আর চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। এখন তারা দুজনেই করােনা আক্রান্ত। বলছি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের কথা।

করোনা সংক্রমিত হওয়ায় দুজনেই আছেন ঘরবন্দি অবস্থায়। পরিবারের সদস্যরাও ঘেষতে পারছেন না কাছে। এমন একাকী অবস্থায়ই এবারের ঈদ কেটেছে নাদেল ও আজাদের।

প্রতি ঈদের ঈদগাহে নামাজ পড়তে যান তারা। পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন আর দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, কুলাকুলি করেই কাটে তাদের ঈদের দিন। তবে এবার ব্যতিক্রম। এবার কারো সাথে দেখাও করতে পারছেন না এই দুই নেতা। এমনকি এবার ঈদের নামাজেও অংশ নিতে পারেননি তারা।

বিজ্ঞাপন



সোমবার (২৫) সারাদেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরেই এই উৎসবের দিনটি পাপলন করছেন সবাই।

এবারের ঈদ পালন প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, আমার উপলব্দি হওয়ার পর এই প্রথম ঈদের নামাজ মিস করলাম। একজন মুসলাম হিসেবে এটা খুবই কষ্টের। এছাড়া কারো সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। ঈদের একটা দিন পরিবারের সদস্যদেরও কাছে যেতে পারছি না। এরচেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে।

তিনি বলেন, ঈদের দিন বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়েই কেটেছে। বাথরুমে যাওয়া ছাড়া রুম থেকে বের হইনি। এছাড়া সকালে সেমাইসহ কিছু খাবার খেয়েছি।

তিনি বলেন, মাঝেমাঝে কিছু জ্বর হওয়া ছাড়া আমি মোটামুটি সুস্থ আছি। করোনার আর কোনো উপসর্গ আমার মধ্যে নেই।

ঈদ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম নাদেল সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আমি কখনোই ঈদের জামাত মিস করিনি। আজ মিস করতে হলো। বাচ্চারা কাছে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের কাছে ডাকতে পারছি না। একঘরে রয়েছি। এটা খুবই কষ্টের।

তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি ঈদের সারাটা দিনই তাদের নেতাকর্মীদের সাথে থাকি। তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। কিন্তু এবার কারো সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। এজন্যও খারাপ লাগছে।

নাদেল বলেন, অসুস্থ হওয়ার কারণে ঈদের দিন অনেকেই বাসায় খাবার পাঠাচ্ছেন। ফলে খাওয়া-দাওয়া প্রচুর হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে থেকে আমি অনেকটাই সুস্থ আছি। কোনো ধরণের অসুস্থতা নেই।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মে শফিউল আলম নাদেলের করোনা শনাক্ত হয়। আর ২৪ মে আজাদুর রহমানের করোনা শনাক্ত হয়। দুজনের বাসায় আইশোলেশনে আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত