কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, শায়েস্তাগঞ্জ

৩০ মে, ২০২০ ১৯:৪৮

শায়েস্তাগঞ্জে মুরগী খামার করে সফল উদ্যোক্তা হাকিম

শায়েস্তাগঞ্জের অনেকেই বয়লার মুরগীর খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। স্বল্প পুঁজি নিয়েই শুরু করা যায় এই ব্যবসা, তাই এই ব্যবসাতে অনেকেই ঝুঁকছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরনুরআহমদ,বাগুনিপাড়া, সুদিয়াখলা, বিরামচর, ব্রাক্ষণডুরা, সুরাবই, পুরাসুন্দা, নুরপুর, নসরতপুর, শায়েস্তাগঞ্জে প্রায় শতাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ব্যবসায় জড়িত।

বয়লার মুরগীর খামার দিয়ে সফল হয়ে উঠা একজন সফল উদ্যোক্তা আব্দুল হাকিম। তিনি শোনালেন তার এই পেশায় উঠে আসার গল্প। আব্দুল হাকিম বানিয়াচং এর ৪নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের বাসিন্দা। শায়েস্তাগঞ্জের সুরাবই গ্রামে বিয়ে করার সুবাদে এখন এখানেই ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। প্রায় ৭-৮ বছর আগে তিনি বানিয়াচংয়ের গ্যানিংগঞ্জ বাজারে ২টি মুরগীর খামার দিয়েছিলেন, তারপর আস্তে আস্তে তার দিন বদলাতে থাকে। প্রতি মাসে এক চালান বিক্রিতে লাভ আসে ১০-১৫ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ৫ বছর আগে তিনি বিয়ে করে শায়েস্তাগঞ্জের সুরাবই গ্রামে বসবাস করা শুরু করেন। তার শশুরের ২ শতক জায়গায় তিনি একটি মুরগীর খামার দেন। পাশাপাশি এই মুরগী বিক্রি করার জন্য অলিপুর বাজারে মা বাবার দোয়া পোল্ট্রি হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে তার । বর্তমানে তিনি মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় করেন।

বর্তমানে তার খামারে ৬০০টি বাচ্চা মোরগ আছে। মে মাসের ৫ তারিখ ৫০ গ্রাম ওজনের বাচ্চা মোরগ তিনি ৩৬ টাকা দরে কিনে এনেছিলেন, এখন মুরগীর ওজন এককেজি।
এককেজি ওজন হতে সময় লেগেছে মাত্র ২৫ দিন। আরও একমাস গেলে প্রতিটি মুরগী প্রায় ২ থেকে আড়াই কেজি হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই ৬০০টি মুরগীর পেছনে তার খরচ হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা, মুরগীর দাম ভাল থাকলে তিনি এ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

আব্দুল হাকিম বলেন, এই ব্যবসায় আসার পেছনে আমার মামা মতিউর রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে কখনো কখনো বাচ্চা মুরগী মারা গেলে লোকসান ও গুনতে হয়। এই ফার্ম দিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে এখন সুখেই আছি। তবে এই ব্যবসা আরও বড় পরিসরে করতে চাই। সেজন্য লোণের জন্য পূবালী ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট করেছি। কিন্তু এখনো লোণ পাইনি।

বয়লার মুরগীর খামার দিয়ে লাভবান হয়েছেন এমন তালিকায় আরও আছেন, পুরাসুন্দা গ্রামের শেখ সোহাগ, খোকন তালুকদার, মন্নান মিয়া, রাসেল মিয়াসহ আরও অনেকেই।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রমপদ দে বলেন, আমাদের সরকারিভাবে সহায়তার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা আব্দুল হাকিমকে সরকারি কোন উদ্যোক্তা লোণ দেয়ার চেষ্টা করব। শায়েস্তাগঞ্জে মোট কতগুলো খামার আছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি, আমি এসে এ পর্যন্ত ৩টি রেজিস্ট্রেশন করেছি। আমাদের ডাটাবেইজ এর কাজ চলতেছে সবাইকে এর আওতায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত