জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

০২ জুন, ২০২০ ১৫:১৮

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ফের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস আট দিন পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যেই সোমবার সকাল ৬টা থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিক নেতারা আসন প্রতি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়ার দাবি করলেও যাত্রীদের অভিযোগ দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার পাশাপাশি অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চলাচল করছে গণপরিবহন। হাতে গোনা কয়েকটি বাস ছাড়া বেশিরভাগ ইমা, লেগুনা, সুজুকি, হিউম্যান হুলার ও টেম্পোতে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বহন করা হচ্ছে যাত্রী। সরকার ঘোষিত নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক পূর্বের ন্যায় ১৪ জন বা তার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

আবার তুলনামূলক যানবাহন কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ সুযোগে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছেন ইমা, লেগুনা, সুজুকি, হিউম্যান হুলার চালকরা।

স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো নজরদারি দেখা যায়নি।

সলিম উদ্দিন নামের এক যাত্রী জানান, তিনি সিলেটের ধোপাদিঘীরপাড় থেকে লেগুনা করে জৈন্তাপুরে আসেন। তাই তাকে বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে আসতে হয়েছে। গাড়িচালক ও হেলপার নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পূর্বের ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে এবং গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানামা করছে। সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।

রাস্তায় নজরদারির জন্য সরকারঘোষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও চেকপোস্টের দেখা মেলেনি। এছাড়া গাড়িচালক ও হেলপাররাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তো দূরের কথা, মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। গাড়ির সিটগুলো রয়েছে অপরিচ্ছন্ন।

ইতোমধ্যে সিলেটের পর্যটন এলাকা খ্যাত জৈন্তাপুর উপজেলায় দ্রুত কোভিড-১৯ রোগে হু হু করেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক জানান, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে যাত্রী পরিবহন করছে। আমাদের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, করোনা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ১৭ কোটি বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশও চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ছাড়া কোনও গাড়ি চলবে না। সরকার যে আইন করেছেন সব আমাদের উপকারের জন্য। তাই আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত