নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ জুন, ২০২০ ১৮:৫৫

বাজেটকে স্বাগত জানালো সিলেট চেম্বার

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে সিলেটের ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রস্তাবিত বাজেটকে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প বান্ধব বাজেট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানান সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, মহামারীর এই সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণ ও বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন, আশা করি ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক এই বাজেটে তারই প্রতিফলন পাওয়া যাবে। ৫ লক্ষ ৬৮ কোটি টাকার এই বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ যা মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে বর্তমান সরকারের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বিস্তৃতির ফলে সব দেশেই অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও চাহিদা বদলে গেছে, যা আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রায় দুই মাস ধরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর লকডাউনে থাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও শ্রমিক এবং প্রান্তিক চাষীদের কর্মহীন হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান, শিল্প ও কৃষি খাতে উৎপাদন, সার্ভিস সেক্টর সচল করাসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিসঞ্চার করার মতো উপাদান সংযুক্ত করা হয়েছে। যা খুবই সময়োপযোগী।

আসন্ন মন্দা ও দুর্ভিক্ষ অবস্থা মোকাবেলায় সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো, কর মুক্ত আয়ের সীমানা ৩ লাখ করা, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো একটি যুগোপযোগী প্রস্তাব বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।

এছাড়া বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মানবসম্পদ খাতে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ, সার্বিক কৃষি খাতে ২২ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৩ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১১ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী এই নেতা।

তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ঔষধ ও সারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা কমানোর আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে সারের দাম হ্রাস করা হলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা ছাড় সহজীকরণ এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার সময়সীমা জরিমানা ব্যতীত বৃদ্ধি, সংকটকালীন সময়ে ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ অব্যাহত রাখা, আবাসিক গ্রাহকদের ন্যায় বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বর্ধিতকরা, সিলেটে আসা ব্যাগেজ পণ্য সমূহের গুদাম ভাড়া মওকুফের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত