তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৬ জুন, ২০২০ ১৫:৩৭

তাহিরপুরে পুলিশ-মাদক ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ২

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তে গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন- বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস, নায়েক মন্টু দে, কনস্টেবল মো. আজাদ, মোটরসাইকেল চালক সেলিম। গুরুতর আহত সেলিমকে সোমবার রাতেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় রাজাই গ্রামের জম্মত আলীর ছেলে আলী আমজাদ (২২) ও একই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে এখলাস মিয়া (৫৫) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

সোমবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম রাজাই গ্রামের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আছমত আলীর ছেলে জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস ও তার আত্মীয় স্বজনসহ ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে তাহিরপুর থানা পুলিশ হামলার খবর পেয়ে ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস, মনতোষ পাল, এএসআই বেলাল হোসেন, মীর হোসেনসহ পুলিশের আরেকটি দল উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে জুলহাসের বসত ঘরে থাকা সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে রাখা ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় জুলহাস ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।

পরে সোমবার ভোররাতে উপজেলার চাঁনপুর ও বৃন্দারবন গ্রাম থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত