সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০২০ ২৩:৪৬

ইমজার মানবিক কর্মসূচিতে পুলিশ সুপারের অনুদান

করোনাকালে ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েসন (ইমজা) সিলেট-এর গৃহিত মানবিক কর্মসূচিতে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।

শনিবার সিলেটে কর্মরত টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইমজার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা পুলিশের সহকারি মিডিয়া অফিসার ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সাইফুল আলম পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে এই অনুদান ইমজা নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইমজার সহসভাপতি আনিস রহমান, সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবীর, নির্বাহি সদস্য এস আলম আলমগীর, ইমজার শুভাকাক্খি দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি আকাশ চৌধুরী, ইমজা সদস্য শুভ্র দাশ, অনিল পাল প্রমূখ।

জেলা পুলিশের সহকারি মিডিয়া অফিসার সাইফুল আলম বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে অপরাধিকে সংশোধ করা কঠিন। এজন্য প্রয়োজন মানবিক উদ্যোগও। এই কাজের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থাকলেও আমাদের সবাইকেই কিছু না কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। করোনার এই দুঃসময়ে সাংবাদিকতার পাশাপশি ইমজার মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যেকেনো মানবিক কার্যক্রমে জেলা পুলিশ সাথে থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সুরমা নদীর তীরে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ১৮তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গিয়ে ইমজার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।

এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতানুগতিক অনুষ্ঠানের বাইরে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ এবং রাতে ইমজার গৃহিত কর্মসূচিতে একদিনের খাবার বিতরণ করেন এনটিভি সিলেটের দায়িত্বশীলগণ। খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার। ইমজা নেতৃবৃন্দ তার কাছে কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

শুধু খাবার বিতরণই নয়, করোনার এই দুঃসময়ে ছোটোখাটো অপরাধের সাথে জড়িত ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষকে মানসিকভাবে সংশোধন ও তাদের পুর্নবাসনের উদ্যোগে মুগ্ধ হন পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি তাৎক্ষণিক এই কর্মসূচিতে ২৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ। নিজেরা করোনা আক্রান্ত হলেও থেমে নেই পুলিশের কার্যক্রম। গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছুটে যাচ্ছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। এই সময়ে ইমজার এমন কর্মসূচি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। সবাই মিলে আন্তরিক চেষ্টা করলে শুধু করোনা নয় যেকোনো দুঃসময়কেই আমরা জয় করতে পারব। ছোটোখাটো অপরাধের সাথে জড়িতদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তনে এই কর্মসূচি কার্যকর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতে সুরমা নদীর তীরে ক্বীনব্রিজের নিচে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও ছোটোখাটো অপরাধের সাথে জড়িতদের করোনা সংক্রমণ রোধ ও অপরাধ থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে প্রায় দুমাস ধরে স্বেচ্ছাসেবিদের নিয়ে রাতের খাবার বিতরণ করে আসছে ইমজা। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত