তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৫ জুলাই, ২০২০ ১৫:০৯

কাঁচামরিচে ঝাল

গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাতে সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে দফায় দফায় কাঁচামরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। দফায় দফায় দাম বেড়ে ২শ টাকা হওয়ায় যেন কাঁচা মরিচের ঝালে ক্রেতাদের চোখে পানি আসার উপক্রম। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বাজারে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা হঠাৎ কাঁচামরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এ অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগাম বন্যা হওয়ায় কাঁচামরিচের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে বাজারে কাঁচামরিচের দামে যেন আগুন লেগেছে। সপ্তাহখানেক আগে এই কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ও পানি কমতে শুরু করায় এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি নরমাল ১৬০-১৮০। ভালো মানের ২০০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার পেছনে স্থানীয় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা ও সচেতন মহল।

ক্রেতা আমিরুল ইসলাম জানান, কিছু দিন আগেও যে কাঁচামরিচ কিনেছি প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা, সেই মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা। মৌসুমের শেষে দাম একটু বাড়তে পারে। তাই বলে ৫০-৬০ টাকার কাঁচামরিচ ২০০ টাকা তা মানা যায় না। তাহলে সারা বছর কাঁচামরিচের দাম কত হবে? দাম বাড়ানো অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজি।

বিক্রেতা সুশেন জানান, এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পরিমাণ কাঁচামরিচ বাজারে আসছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদের কিছু করার নেই ক্ষতি দিয়ে বিক্রি করতে পারব না।

এছাড়াও উপজেলার বাদাঘাট, বালিজুরী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল, তাহিরপুর সদরসহ ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন প্রকার কাঁচা সবজির দাম বেড়েছে।

এখনই প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান উপজেলার সচেতন মহল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত