নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুলাই, ২০২০ ০০:৩০

নগরীতে ৩টিসহ সিলেট জেলার ১০৫ স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

ফাইল ছবি

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিলেট নগরীতে এবার ৩টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। আর সিলেট জেলার ১০৫ স্থানে হাট বসানোর কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। হাটের ইজারার জন্য ইতোমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে এবার পশুর হাট বসানো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব হাট বসবে। নগরীতে উন্মুক্ত স্থানে বসানো হবে হাট।

জানা যায়, সিলেট নগরীতে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, এমসি কলেজ মাঠ ও দক্ষিণ সুরমাস্থ পারাইরচকের কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে পশুর হাট বসানো হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, সারাদেশেই কোরবানির হাটের জন্য একটি স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যেহেতু পশুর হাট শুরু হতে এখনো কিছু সময় বাকি। তার আগেই চূড়ান্ত হবে স্বাস্থ্যবিধি। সাধারণত কোরবানির চার-পাঁচদিন আগে পশুর হাট বসে। তাই মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার পরিচালিত হবে কোরবানির পশুর হাট।

এদিকে নগরীতে নির্ধারিত তিন স্থানে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে বলে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, এ বছর আমরা নগরীর তিনটি উন্মুক্তস্থানে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি পেয়েছি। আমরা দুই-একদিনের মধ্যেই হাটগুলো ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছি। এবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান, এমসি কলেজ মাঠ ও দক্ষিণ সুরমাস্থ পারাইরচকের কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল মাঠ বলে জানান নগর ভবনের প্রধান এ নির্বাহী কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবার নগরীর যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। কোরবানির পশুর হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। চূড়ান্ত হলে সেটা অনুসরণ করেই পশুর হাট বসবে। আমাদের নিজস্ব টিম এবং মোবাইল কোর্ট থাকবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে।

এ দিকে সিলেট নগরী ব্যতীত জেলায় আরও ১০২টি কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট বসতে যাচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। তিনি জানান, জেলার ১৩ উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে একটি করে অস্থায়ী কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট বসানো হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কাজিরবাজারের স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও নগরীর ভেতরে ৩টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এর বাইরে সিলেট শহরে অন্য কোথাও কোরবানির পশুর হাট বসানে যাবে না। সিলেট জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। ১৩ উপজেলার ১০৫ টি ইউনিয়নে বসবে এই হাট।

পাশাপাশি স্থায়ী পশুর হাটগুলোও উন্মুক্ত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন উপস্থিত থাকবেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য দিকনির্দেশনা দিবেন। আমরা চেষ্টা করব প্রতিটি ইউনিয়নের যে কোনো স্কুলের বড় খেলার মাঠে হাট বসানোর জন্য। যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতার কোরবানির পশু কিনতে পারেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত