কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ জুলাই, ২০২০ ২০:৫৪

কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ত সময়

আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে জমে উঠছে দা-বঁটির বাজার। এ জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলঅকার কামারদের কারিগররা। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দা, চাকু, কুড়ালসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও কামাররা লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ভালো উপার্জন করে থাকেন।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কামারদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। কমলগঞ্জে ৪০/৪৫টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন বাজারের কামারপট্টিতে। দোকানদারদের কেউ ভাড়াটিয়া, নিজ বাড়িতে বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। লোকসান ভেবেও এ পেশা তারা ছাড়ছেন না। তবে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা মধু ঈদ সামনে রেখে এ ব্যবসা করে থাকেন। ঈদুল আজহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বিভিন্ন কামারপট্টিতে। ঈদ মৌসুমে কোরবানির জন্য কামারপট্টির কারিগরদের প্রচুর পরিমাণ দা, চাকু, বঁটি ও চাপাতি জোগান দিতে হয়।

শমশেরনগর বাজারের কামারপট্টির সজল চন্দ্র দাস ও সুখেশ দাস বলেন, বাব-দাদার আমল থেকে এ ব্যবসার সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু আমরা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। আমাদের দুঃখের কোনো সীমা নেই। তবে ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করা। গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসছে চাপাতি, দা, বঁটি, চুরি ও কুড়ালের।

তারা বলেন, কাজের চাপ বেশি থাকলেও যন্ত্র তৈরি জ্বালানির দাম অনেক বেশি। তারা সারাদিন আগুনের সামনে বসে থেকে মাত্র দিন শেষে ৪/৫ শত টাকা পাওয়া যায়। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার যদি তাদের সহযোগিতা না করে তারা একদিন এ পেশা ছেড়ে দেবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত