নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ আগস্ট, ২০২০ ২০:৫৫

প্রতিশ্রুত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্যমুক্ত সিলেট নগরী

সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নগরীকে বর্জ্য মুক্ত করবে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য, চামড়া ব্যবসায়ীদের জড়ো করা চামড়া থেকে উদ্ভূত সকল প্রকার বর্জ্যসহ সুনামগঞ্জের এক চেয়ারম্যানের ফেলে রাখা সহস্রাধিক চামড়াও অপসারণ করেছে সিসিক।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শনিবার নগরীর কুমারপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশনে কয়েক স্তরে ১২’শ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতে নগরীকে ৩টি জোনে ভাগ করে সিসিকের ৯ টি মনিটরিং টিম কাজ বর্জ্য অপসারণ কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। বর্জ্য অপসারণের পরপর জীবানুমুক্তকরণে নগরজুড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

রোববার দুপুরের দিকে মেয়রের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্জ্য অপসারণের সময়সূচি থাকলেও শনিবার রাতের মধ্যেই সেটা করতে পেরেছে সিসিক।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ১২০০ পরিচ্ছন্নকর্মী সিলেট নগরীকে বর্জ্যমুক্ত করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, উপ সহকারী প্রকৌশলী তানভির আহমদ তানিমসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি চামড়া ব্যবসায়ীদের রাস্তায় জড়ো করে রাখা চামড়ার কারণে উদ্ভূত বর্জ্যও অপসারণ করে সিলেট সিটি করপোরেশন। দুর্গন্ধমুক্ত রাখার জন্য সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা রাস্তা ব্লিচিং পাউডার ও পানি দিয়ে পরিস্কার করেছে।

এ ব্যাপারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হানিফুর রহমান জানান, কোরবানির পর পশুর বর্জ্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নগরী পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। নগরীর অলিগলিতেও কোন বর্জ্য বা দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে কিনা তাও খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। রাতে নগরী কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার কাজ শেষ হলেও এখনো মাঠে চারটি টিম কাজ করছে বলে জানান হানিফ।

এদিকে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে কোরবানির পশুর চামড়া এনে নগরীর আম্বরখানায় উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখার পর সেগুলোও অপসারণ করেছে সিসিক। জগন্নাথপুরের এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অপরিকল্পিতভাবে সহস্রাধিক চামড়া ফেলে রেখে দিলে দুর্গন্ধে এলাকার মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ স্থানীয়রা সিটি মেয়রকে অবহিত করলে মেয়রের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চামড়াগুলো অপসারণ করা হয়।

অভিযানকালে সিসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা চামড়াগুলো সরিয়ে ট্রাকযোগে ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিকের কর্মকর্তারা। চামড়া ডাম্পিং করে রাখা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত