কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ আগস্ট, ২০২০ ০১:২৫

দাম না পেয়ে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেন অনেকে

ফাইল ছবি

অর্ধলক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যে পশু কিনে কোরবানির পর পশুর চামড়া কিক্রি করতে না পেরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনেকেই মাটিতে পুতে ফেলেছেন। ঈদের দিন শনিবার পশু কুরবানি দিয়ে কেউ কেউ চামড়া বিক্রি করেন পানির দামে। উপজেলায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় । আর ছাগলের চামড়া ১০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে পশুর চামড়া এনে উপজেলা সদর, ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, পতনউষার, মুন্সীবাজারে অপেক্ষমান চামড়ার ক্রেতাদের কাছে ভালো দামে বিক্রি করা হতো। এবছর গ্রাম থেকে বাজারে চামড়া নিয়ে এসে ক্রেতা খোঁজে পাওয়া  যায়নি।

কমলগঞ্জ পৌরসভার নছরতপুর গ্রামের জামি আহমেদ বলেন, চামড়ার বাজারের পরিস্থিতি জেনে তিনি মাটির গর্তে পুতে ফেলেন। শমশেরনগরের শিংরাউলী গ্রামের নজরুল ইসলাম, পতনউষারের আলমগীর বলেন, বাজারের অবস্থা জেনেই গরুর চামড়া মাটির গর্তে পুতে ফেলেছেন। শমশেরনগরের শিংরাউলী গ্রামের ফজু মিয়া বলেন, ঈদের দিন ৫০ টাকার রিক্সা ভাড়া দিয়ে একটি বাসার দুটি গরুর চামড়া নিয়ে বাজারে বিক্রি করেছেন মাত্র ৬০ টাকায়।  

চামড়া বিক্রেতারা বলেন, আগে মাদ্রাসায় চামড়া দিয়ে দেয়া হত। এবার চামড়ার বাজার খারাপ থাকায় কোন মাদ্রাসাও চামড়া নেয়নি। শমশেরনগরের একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মতিউর রহমান বলেন, চামড়া গ্রহন করে প্রাথমিকভাবে তা সংরক্ষনের পর লোকসানে বিক্রি করতে হবে। তাই আগে থেকে মসজিদে নামাজের সময় জানানো হয়েছিল এবার কুরবানীর পশুর চামড়া তারা গ্রহণ করবেন না।

কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের চামড়া ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া জানান, তিনি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সাইজ বুঝে ১৫০ টাকা দিয়ে প্রতিটি গরুর চামড়া কিনেছেন। এ বছর ৩ থেকে ৪শ’ চামড়া কিনেছেন। কেনা চামড়াগুলো প্রাথমিকভাবে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।

চামড়া বিক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কেনা চামড়াগুলো এখনও ঢাকার চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেননি। সময়মত ঢাকার চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে না পারলে তারা বড় ধরণের লোকসান গুণতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত