গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি

০৫ আগস্ট, ২০২০ ১৯:৩০

জাফলংয়ে যাওয়া পর্যটকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবু ঈদের মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বিপুল সংখ্যক পর্যটক সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাফলংয়ে ভিড় করছেন। এই দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

এ অবস্থায় কঠোর হয়েছে গোয়ানঘাট উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৪ আগস্ট) জাফলংয়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রশাসনের নির্দেশে রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে পর্যটন পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটন পুলিশ জাফলং সাব-জোন ইন্সপেক্টর রতন শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে পর্যটকবাহী যানবাহন আটকে দিচ্ছেন ও  জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যেতে নিরুৎসাহিত করে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে গুচ্ছগ্রাম এলাকার চেকপোস্টে কর্তব্যরত ইন্সপেক্টর রতন শেখ জানান। করোনাভাইরাস জনিত কারণে সবকটি পর্যটন স্পট বন্ধ রয়েছে। তারপরও দুই একজন পর্যটক আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স্থানে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া একজন পর্যটক গতকাল জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে নিখোঁজ হন। যাকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধারে কাজ করছে। তাই বর্তমানে চেকপোস্ট বসিয়ে এখানে ঘুরতে আসাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব বলেন, দেশে করোনাভাইরাসজনিত কারণে সরকার অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পর্যটন স্পট গুলোও বন্ধের আওতায় রাখেন। তাই  সরকারের নির্দেশনায় বন্ধ থাকা পর্যটন স্পটে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে দুই একজন পর্যটক পর্যটন স্পটে ঢুকে পড়ছে। গতকাল নিখোঁজ হওয়া পর্যটককে উদ্ধারে প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু সরকারি নির্দেশনায় পর্যটন স্প বন্ধ রেখে  জনসাধারণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে,সেহেতু  জাফলং জিরো পয়েন্টসহ সকল স্থানে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পর্যটক আনাগোনা বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতা হিসেবে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক সমাগমে ১৮ মার্চ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের-ইউএনও নির্দেশনা দেয়া হয়, যাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লোক সমাগম না হয়। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে জাফলং, লালাখাল, পাংথুমাই, লোভাছড়া, উৎমাছড়া, বিছানাকান্দি, সাদাপাথরসহ বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।      

আপনার মন্তব্য

আলোচিত