নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ আগস্ট, ২০২০ ১৭:৫০

বোমাসদৃশ বস্তুটি কে রাখল, তদন্তে পুলিশ

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় বোমাসদৃশ বস্তুটিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শেষে জানা গেছে ওটা বোমা ছিল না। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে এই উদ্বেগের অবসান হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। ২১ ঘণ্টার দীর্ঘ সময় শেষে ঢাকা থেকে আগত সেনাবাহিনীর বিশেষ দল জানায় ওটা বোমা নয়, ছিল একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন (টাইলস ও রড কাটার যন্ত্র)।

এদিকে, এই ঘটনা কী উদ্দেশে এবং কে বা কারা পুলিশ সার্জেন্টের মোটরসাইকেলে আটকে রেখেছিল এ বিষয়গুলোর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে সিলেট মহানগর পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শুক্রবার (৭ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম এ সম্পর্কে জানান, কে বা কারা ওই গ্রাইন্ডিং মেশিনটি পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে রেখেছিল এবং কোন উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এসব তদন্ত করছে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলোর ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, তদন্ত শেষ হলেই প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানানো হবে। কবে নাগাদ এই তদন্ত শেষ হতে পারে এ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলটি চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশ বক্সের পাশে রেখে তিনি পার্শ্বস্থ একটি দোকানে ঢুকেন। দোকান থেকে ফিরে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাল রঙের একটি বস্তু বাধা দেখতে পেলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওই মোটরসাইকেলে ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও র‌্যাব-৯ এর টিমও দ্রুত আসে। বন্ধ করে দেওয়া হয় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়কে যান চলাচল। সিলেট মহানগর পুলিশে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট না থাকায় খবর পাঠানো হয় ঢাকায়। পুলিশের সদর দপ্তর থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও বোমা ধ্বংসকরণ টিম পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরকে। সেনা সদর দপ্তর নির্দেশনা পাঠায় সিলেটস্থ ১৭ পদাতিক ডিভিশনকে।

এ ডিভিশনের বোমা বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল রাহাত, লে. কর্নেল খালেদ, ক্যাপ্টেন নূর, ক্যাপ্টেন গালিবসহ একটি টিম বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর জানা যায়, এটি বোমা নয়, একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত