সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ টিবি গেইট এলাকায় গোয়ালীছড়ায় শূন্য দশমিক তিন পাঁচ (০.৩৫) কিলোমিটার রিটেননিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ছড়ার সৌর্ন্দযবর্ধনে নির্মাণ করা হয়েছে সুপ্রশস্ত ওয়াকওয়ে। গোয়ালীছড়ায় প্রকল্পের প্রবেশ পথে সবুজায়ন করা হচ্ছে। থাকবে বসার স্থান। একটি কফি হাউজ নির্মাণ করা হবে। ছড়ারপাড় ঘেষা রেলিং ধরে সরু বাগান তৈরি করা হয়েছে। ওয়াকওয়ের ছিদ্রযুক্ত সীমানা প্রাচীরে বাংলাদেশ ও সিলেটের ঐতিহ্য শীর্ষক ম্যুরাল তৈরি করা হবে।

ওয়াকওয়ের পাশে সড়কবাতির পাশাপাশি থাকবে সৌর্ন্দয্যবর্ধক আলোকবাতি। একপাশে শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে খেলাধুলার সামগ্রী।

রোববার (৯ আগস্ট) গোয়ালীছড়ার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপন্ন ছড়াগুলো নগরীর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। এক সময় নৌ চলাচল করতো এসব ছড়া দিয়ে। কিন্তু দখল দূষণে ছড়া এখন আর আগের মতো নেই।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম এই ছড়াগুলোকে দখলমুক্ত করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সিসিক। পাশাপাশি নাগরিকদের চলাচলের জন্য ছড়াগুলোর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

সিসিক মেয়র বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সবুজায়নকে প্রাধান্য দিয়ে গোয়ালীছড়ায় সুপ্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, স্থপতি রাজন দাশ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

প্রসঙ্গত, সিলেট মহানগরীর মধ্য দিয়ে প্রবাহমান ১১টি ছড়া সংরক্ষণ ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৫ কিলোমিটার ছড়া সংরক্ষণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এই প্রকল্পের অধিনে সিলেট সিটি করপোরেশন ছড়া সংরক্ষনেণে গত অর্থবছরে সাড়ে ৪ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।