নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:১০

বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা

মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া মুষলধারের বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। যদিও দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে পানি নামতে শুরু করে। তবে নগরীরবাসীর অভিযোগ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও সড়ক সংস্কারের কাজ চলায় এই দুর্ভোগ তাদের পোহাতে হচ্ছে।

সোমবার মধ্যরাত থেকেই থেমে থেমে চলতে থাকে বৃষ্টি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় নগরীতে। যা বেলা গড়ানো পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। এই বৃষ্টিতে সিলেটের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের সুবিদবাজার, বনকলাপাড়া, হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ, লোহারপাড়া, বাগবাড়ি, কুয়ারপার, চারাদিঘীরপাড়, হাওয়াপাড়া, বারুতখানা, সোবহানীঘাট, কলবাখানি, কুয়ারপাড়, কাজলশাহ, পাঠানটুলা, খোজারখলা, ভার্থখলা, মেনিখলা, বারখলা, পাঠানপাড়াসহ সহ অধিকাংশ এলাকার প্রধান সড়কে পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও নগরের দাড়িয়াপাড়া, জামতলা, চৌহাট্টার সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, ছড়ারপাড়, পুরানলেন, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, ভাতালিয়া, উপশহরসহ প্রায় ৫০টি এলাকা এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম বিপাকে পড়েন চলাচলকারীরা।


এসময় নগরীর চৌহাট্টার সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে জলাবদ্ধতায় পরে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরবাইক পথিমধ্যে বিকল হয়ে পড়ে। এসব দেখে অনেক চালক সিএনজি অটোরিকশা নষ্ট হবার ভয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়।

সিএনজি চালক হোসেন আলীবলেন, প্রায় ১১ বছর যাবত সিএনজি চালাই। প্রতি বছরই বৃষ্টির সময় এই রাস্তায় জলাবদ্ধতা। সারা শহরের কোথাও জলাবদ্ধতা না থাকলে এখনে থাকে। বৃষ্টির দিনে এই সড়কগুলো আমাদের জন্য ভয়ানক হয়ে উঠে। কারণ সিএনজি নিয়ে গেলেই ইঞ্জিনে পানি ডুকে নষ্ট হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নগরবাসীর অভিযোগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর সিসিকের উন্নয়ন কাজের কারণে চরম বেকায়দায় রয়েছেন তারা। সামান্য বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য জলাবদ্ধতা দেখা দেয় নগরীর বিভিন্ন সড়কে। এছাড়া ময়লা আবর্জনায় ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় নোংরা পানিও ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে জামতলার বাসিন্দা পিনাক রায় জানান, একঘণ্টা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানির সাথে সড়কের দুই পাশের নর্দমার নোংরা পানি সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে সেই জলাবদ্ধতা। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই ময়লা পানি দিয়েই চলতে হচ্ছে এলাকাবসীকে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থায় কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা এটা মানতে নারাজ সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, সিলেট নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের সবকটি এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। পুরনো ড্রেনগুলোকে ভেঙে পানির সহজ নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ড্রেনগুলোর গভীরতা ও পাশে বড় করে তৈরি করেছে সিসিক।

এছাড়া সিসিক প্রতিনিয়ত ড্রেন, নালা পরিস্কার করছে জানিয়ে তিনি নাগরিকদের আরও সচেতন হয়ে যথাস্থানে ময়লা ফেলা ও ডাষ্টবিন ব্যবহারে আহ্বান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত