সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৯

সিলেটে বঞ্চিত আ.লীগ নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল

নেত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজস্ব বলয়ের অখ্যাতদের নিয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির খসড়া জমা দেওয়ার, প্রতিবাদে বঞ্চিত আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তালতলায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ মিছিল পরবর্তী পথ সভায় বক্তারা বলেন যে, দীর্ঘ নয় মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে যাচ্ছে। এই শুনে আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে ছিলাম দলের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতাদের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু তৃনমূল নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে, দলীয় সভানেত্রীর আদেশ অমান্য করে নিজ পছন্দের কর্মীদের (মাইম্যান) গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়া, ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

তারা বলেন, জেলা কমিটিতে বিতর্কিত ব্যবসায়ী, বালু-পাথর খেকো, দুর্নীতিবাজ, বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি পরিবারের সদস্য দিয়ে প্রস্তাবিত খোসড়া কমিটি কেন্দ্রে প্রেরণ নিয়ে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানাই। জেলা আওয়ামী লীগের গত কমিটির পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেব পরিচিত সিলেট ৪ আসনের ৭বারের সাংসদ বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মহোদয়কে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত খোসড়া কমিটিতে সদস্য পদে রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুর্দিনের কারা নির্যাতিত ত্যাগী নেতা এম. শাহরিয়ার কবির সেলিমকে গত দুই কমিটিতে রাখা হয়নি। বিয়ানীবাজার বাসিন্দা হওয়াতে এবং এবারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের বাড়ী বিয়ানীবাজার হওয়াতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে এবারও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে নূন্যতম সদস্য পদেও রাখা হয়নি। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ত্যাগী নেতা জগলু চৌধুরী, দুর্দিনে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ হিরাকে প্রাণে মারা উদ্দেশ্যে গুলি করে সেই দিন আল্লাহর অশেষ কৃপায় গুরুতর আহত অবস্থান বেঁচে যান। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মকলু মিয়া-কে ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত খোসড়া কমিটিতে সদস্য পদেও রাখা হয়নি।

মিছিল পরবর্তী পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কয়েছ আহমদ, মাহবুবুল হক, আব্দুল মুতলিব, সোবহান আহমদ, নোমান আহমদ, জসিম উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম মাসুম, রেজানোর রহমান সেলিম, ইয়াছিন আহমদ সুমন, রকিব আলী, মীর্জা হামিদ অভি, ফয়ছল আহমদ, নবী হোসেন জীবন প্রমুখ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত