তাহিরপুর প্রতিনিধি

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:৩৯

তাহিরপুরে টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পরেছেন এই রুটে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।

জানা যায়,গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তের যাদুকাটা নদী উপচে তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের হাসপাতালে পিছেনের ব্রিজ ও হুসনারঘাট-ইসলামপুর সড়কে পানিতে তলিয়ে যায়। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর পূর্বাংশের ১০০মিটার রাস্তা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে এই সড়কগুলোতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষজন নৌকাযোগে পারাপাড় হচ্ছেন।

অন্যদিকে উপজেলার উত্তর বড়দল, বাদাঘাট, বালিজুড়ী, তাহিরপুর সদর, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নের রোপা আমন জমি পানির নিচে আবারও তলিয়ে গেছে।

রিকশা চালক জামিল মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারি নাই। যাও মাঝে মধ্যে বের হয়েছি মানুষ নেই। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি পরিমাণ আরও বেড়েছে। এখন আরও দুর্ভোগে পড়েছি।

তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতু সংলগ্ন আনোয়ারপুর বাজারের বাসিন্দা, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
মিলন তালুকদার বলেন, আনোয়ারপুর সড়কের এপ্রোচের ১০০মিটার এই সড়কটি মেরামত না করায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এই স্থানে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। সময় উপযোগী সড়ক নির্মাণ করা না হলে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক এই অংশে চলাচলকারী যানবাহন ও মানুষের কষ্টের শেষ হবে না।

বালিজুড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, বালিজুড়ি ইউনিয়নে রোপা আমন জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নের বাড়ি ও সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর আগের তিনবারের বন্যায় সড়কপথের ব্যাপক ভাঙ্গনে চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান-উদ-দৌলা জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল আসায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের তিনশত একর রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত