কানাইঘাট প্রতিনিধি

০১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:৪৬

দলিল তৈরিতে অনিয়ম : কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত

সিলেটের কানাইঘাটে সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দলিল তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। চলতি বছরের ২মার্চ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কানাইঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম দলিল তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ এনে মহা পরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সিলেট জেলা সাব-রেজিস্ট্রার মুন্সী মখলিছুর রহমান এ অভিযোগের তদন্ত করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর একটি দলিল (যার নম্বর ৪৮৩৭/১৯) ও ২১ অক্টোবর পৃথক একটি (দলিল নম্বর-৫১৫৬/১৯) সম্পাদিত হয়। ৫১৫৬ নম্বর দলিলের ৩ নম্বর দাতা হবিবুন নেছা মানসিক ভারসাম্যহীন। এই সুযোগে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল জমিটুকু কৌশলে রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। কানাইঘাট রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখক আমির উদ্দিন ও ক্রেতা-বিক্রিতা যোগসাজস করে এই দলিলটি সম্পাদন করে নেন। অপরদিকে ৪৮৩৭ নম্বর দলিলটি সম্পাদন করেন একই কার্যালয়ের দলিল লেখক দেলোয়ার হোসেইন। এই দলিলটিতে দাতার মায়ের নাম উল্লেখ করা হয় মারিয়া বেগম। প্রকৃতপক্ষে দাতার মায়ের নাম মৃত আয়েশা বিবি। দুটো দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারী মো. জাহিদুল ইসলাম দলিল দাতাদের নিকটআত্মীয়।

অভিযোগকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন পিতা-মাতার সন্তানদের ক্ষেত্রে দলিল সম্পাদিত হয় না। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে উল্লেখিত দলিল দুটি সম্পাদনকারী ও তাদের সহযোগীতাকারীদের বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে ও কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। গোপনে খবর পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হই। পরে লিখিতভাবে আমার বক্তব্য দিয়েছি।’

আলাপকালে সিলেট জেলা সাব-রেজিস্টার মুন্সী মখলিছুর রহমান বলেন, ‘সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত করেছি। তদন্তকালে অভিযোগের সমুহ বক্তব্য মৌখিকভাবে শোনেছি এবং লিখিতভাবে গ্রহন করেছি। তদন্তে যা পাওয়া গেছে তার একটি প্রতিবেদন নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে পাঠানো হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত