সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ নভেম্বর, ২০২০ ২২:৩১

সুনামগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে একজন সাংসদ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘হাওরবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু সুনামগঞ্জের উন্নয়নকে অনেকভাবে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের পিছিয়ে থাকা অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি।’

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে অনলাইনে জুমের মাধ্যমে জগন্নাথপুর পৌর সভায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ওভারহেড ট্যাংক ও ড্রেনেজ কাজের উদ্বোধন ও গভীর নলকূপ টুইন-পিট ল্যাট্রিন বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি হাওরের মানুষ। ছোট বেলায় দেখছি হাওরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কত কষ্ট করেছেন। তাই হাওর এলাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে দেশে পানির সংকট থাকবে না। গ্রামে গ্রামে আমরা পানি পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেছি।’

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগ করে বলেন, ‘সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে একজন সাংসদ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের কল্যানে সুনামগঞ্জ-৪ আসন ছেড়ে দেওয়ার কারনে জাতীয় পার্টি থেকে সাংসদ হয়ে, নিজে বিশ্ববিদ্যালয় এনেছেন এমন সদরের মানুষকে বুঝিয়ে বাহবা নিতে চান তিনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি কোনো কাজও করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর জন্য। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাব করেছি। ওই এলাকায় সুনামগঞ্জের ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখ মানুষের সুবিধা। এছাড়াও কোন ফসিল জমি নষ্ট হবে না। মাটির খরচ হবে কম। এসব বিবেচনায় আমরা কাজ করছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত