সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ২২:১২

রাতারগুলের মানবসৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কার অভিযান অব্যাহত

বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলারবন ‘রাতারগুল’-এ মানবসৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কারে স্থানীয় চৌগ্রাম ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচির ৫ম দিন অতিবাহিত হয়েছে। ৫ম দিবসে এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদি সংগঠন গ্রীণ এক্সপ্লোর সোসাইটি।

বুধবার বিকেলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাথে একাত্ম হয়ে বনের অভ্যন্তরে প্লাস্টিক, পলিথিনবর্জ্য উদ্ধারে নামেন গ্রীণ এক্সপ্লোর সদস্যরা।

সপ্তাহব্যাপি এই কর্মসূচির পঞ্চমদিনে বনের বিট অফিস এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় তারা। এসময় প্রায় দুই বস্তা পলিথিন, প্লাস্টিক, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট, বিরিয়ানির প্লাস্টিক বক্সসহ বনের পরিবেশ বিধ্বংসি আবর্জনা উদ্ধার করা হয়।

বর্জ্য উদ্ধার শেষে বিট অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। চৌগ্রাম ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির গ্রীণ এক্সপ্লোর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহদি হাসান মজুমদার, রাতারগুল বিট অফিসের ইছহাক মিয়া, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের শুয়াইব হাসান প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রীণ এক্সপ্লোর সোসাইটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির শামীম, প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ শুভন, জি-রেসকিউ প্রধান বাদশা ফয়সাল, রিসার্চ উইং মো. শামীম রেজা সাইমুন, রাতারগুল সবুজ বিপ্লব সমিতির সদস্য গিয়াস উদ্দিন, চৌগ্রাম ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি ইয়াহইয়া, সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার মনসুর, ক্রীড়া সম্পাদক সাহিদুর রহমান সুমন, সহ-সাহিত্য সম্পাদক ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমদ রাজু, সদস্য তোফায়েল আহমদ নাসিম, বাশির আহমদ, জুয়েল আহমদ, ইকবাল আহমদ প্রমুখ।

গ্রীণ এক্সপ্লোর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহদি হাসান মজুমদার বলেন, রাতারগুল একটি বিশেষ ধরণের বন। এই বনের অতিরিক্ত মানুষের আনাগুনা হচ্ছে। আগতরা যেভাবে পলিথিন, প্লাস্টিক ফেলে যাচ্ছে তা বনের স্বাভাবিকতা নষ্ট করে ফেলবে। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

চৌগ্রাম ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বনের অভ্যন্তরে আগত লোকজন সাথে নিয়ে আসা খাবারের বর্জ্য ও খোসা যত্রতত্র ফেলে যাচ্ছে। আমরা এগুলো উদ্ধার করছি। কিন্তু বুধবার বনের বিট অফিসের নিচ থেকে এধরণের বর্জ্য উদ্ধার করেছি যা আদৌ কাম্য ছিল না।

তারা জানান, আমরা বিটের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ছড়িয়ে থাকা আবর্জনা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছেন, বিট অফিসে ভিআইপিরা আসেন। তারা রেস্ট হাউজের আশপাশে যত্রতত্র প্লাস্টিক পলিথিন ফেলে দেন। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে কঠিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত