তপন কুমার দাস, বড়লেখা

০২ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:০৭

আদালতে স্বীকারোক্তি: প্রতিহিংসার জেরে বড়লেখায় চা শ্রমিককে খুন

"তিন বছর আগে আমার বড় ভাইকে বান (যাদু) মেরেছে তাই তাকে আমি খুন করেছি" । 
বড়লেখায় চা শ্রমিক বনমালী হত্যার আসামী অমিত বোনার্জী (২০) আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনটাই জানায়। সে বাগানের পুড়াটিলা এলাকার মধু বোনার্জীর ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার মামলার ৫ দিনের মাথায় রবিবার বিকেলে অমিত বোনার্জীকে বাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।

এর আগে বনমালী হত্যার ঘটনাস্থল থেকে দু’শ গজ দুরে ছড়ার পাশ থেকে একটি রক্তমাখা জিন্সের প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। রক্তমাখা জিন্সের প্যান্টের সুত্র ধরে অমিত বোনার্জীকে সনাক্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলের দিকে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামানের আদালতে আসামী অমিত বনমালী বোনার্জী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে বনমালী হত্যা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে অমিত তিন বছর পূর্বে বড় ভাইকে "বান (যাদু)" মেরে হত্যার সন্দেহে বনমালী বোনার্জীকে খুন করেছে বলে জানায়।

থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, পাথরিয়া চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক বনমালী বোনার্জী (৩৬) গত সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বাগান থেকে গরু আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাঁকে পায়নি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় পাথরিয়া চা বাগানের প্রশাসনিক অফিসের দেড়’শ গজ উত্তরে চৌকিদার বিপ্লব বোনার্জী, সঙ্গীয় অজিত বোনার্জী ও নয়ন ব্যানার্জী ৪নং সেকশনের মেইন রাস্তার পাশের ছড়ার কিনারে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে তা বনমালী বোনার্জীর লাশ হিসেবে সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের দিন পুলিশ একটি রক্তমাখা ছুরি ও জুতা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলা নং-২৯, তারিখ-২৭/১০/২০১৫ইং।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান বনমালী বোনার্জী খুনের ঘটনায় মূল হত্যাকারী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত