সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২৮

ধর্ষণের অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার!

সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

টাকার লোভে অন্ধ হয়ে সামাজিক মূল্যবোধের উপর আঘাত করছেন কলেজছাত্রী, আম্বরখানা ইলেক্ট্রি সাপ্লাই রোডের ৪৫/ই নূর মঞ্জিলে অধিবাসী মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাজমা বেগম। প্রেমের ফাঁদ পেতে মোটা অংকের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এখন তিনি অপ্রপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নগরীর চৌকিদেখী এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে ও ফয়সলের বোন রুমি বেগম।

বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে রুমি বলেন, সম্প্রতি সিলেটে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাজমা বেগম যেসব বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এতে সমাজে শুধু আমাদের সম্মানহানীই হচ্ছে না, বরং সিলেটবাসীর সামাজিক মূল্যবোধের উপরও কঠোর আঘাত করেছেন তিনি। নাজমার মূল বাড়ি দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার কুচাই পশ্চিমভাগে। বর্তমানে শিশু এক ভাই আর অপর ৩  বোন ও তার মাকে নিয়ে ইলেক্ট্রি সাপ্লাই রোডে বসবাস করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমার ভাই ফয়সলের সাথে পরিচয়ের সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন নাজমা। এরপর নানা বাহানায় তার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন। ফয়সল নাজমার অর্থলিপ্সা দেখে ও তার বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কাজের প্রমাণ পেয়ে নিজেকে নাজমার কাছ থেকে গুটিয়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা ফয়সলের নামে ধর্ষণের গল্প সাজান। সজল দেবনাথের বাসায় তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অপবাদ তুলেছেন তিনি। সজলের বাসায় তার স্ত্রী, মা-বাবাসহ পরিবারের অনেক সদস্য থাকেন।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, এত মানুষের সামনে কী-ভাবে কাউকে ধর্ষণ সম্ভব? কথিত ঘটনার ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগও কল্পনাপ্রসুত। মূলতঃ টাকার লোভেই তিনি জঘন্য মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। গত ২৭ অক্টোবর আমার বাসায় এসে মোটা অংকের টাকা দাবি করলে আমরা অস্বীকার করি। তখন তিনি তার মাকে ফোন দিয়ে পুলিশ নিয়ে আসেন। সবার সামনেই নাকি আবারও তাকে ধর্ষণ করেছে বলে তার অভিযোগ। এটা কিভাবে সম্ভব? এভাবেই তিনি সামাজিক মূল্যবোধের উপর আঘাত হেনেছেন। সেদিন প্রতিবেশি আসাদ ও ফয়সলের বন্ধু কামরান নাজমাকে তার অভিভাবক নিয়ে আসার কথা বললেও তিনি তা করেননি। তাই কামরান সোহরাব ও রাসেলের নামে হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের মাধ্যমে তিনি টাকা আদায় করতে চেয়েছিলেন। গত বছরের ৩ নভেম্বর নাজমা ফয়সলকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এরপর পুলিশও নাকি তাকে টাকার বিনিময়ে আপোষের প্রস্তাব দিয়েছে বলে অপপ্রচার করছেন তিনি।

রুমি বেগম বলেন, নাজমা নানা বাহানায় ফয়সলের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছে। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন বাজে ছবি ও ম্যাসেজ নিজে নিজে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে। এব্যাপারে ফয়সল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডিও (নম্বর-১২৫১/৩০/০৪/২০২০) করেছিল গত বছরের ৩০ এপ্রিল। অর্থলোভী নাজমার শিকার আরও অনেকে। স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলার এক পর্যায়ে যৌণ নিপিড়নের অভিযোগ তুলে আর্থিক ফায়দা আদায়ই মূলত তার পেশা। গত বছরের ৮ জুলাই তিনি পূর্ব পীরমহল্লার শাহাব উদ্দিন নামক একজনের বিরুদ্ধেও যৌন নিপিড়নের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন এবং পরে আপোষে মিমাংসা করেন। শুনেছি, মোটা অংকের টাকা নিয়ে তিনি আপোষ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, নাজমাকে আমাদের কেউ হুমকি দিচ্ছেন না। বরং তার হুমকিতেই আমার মা আজ শয্যাশায়ী। আর ভাই পলাতক। তিনি সিলেটের পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সচেতন নাগরিকসহ সবাইকে নাজমার মিথ্যা প্রচারাণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ এবং অবিলম্বে ফয়সলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তার অসুস্থ মা পিয়ারা বেগম ও চাচা আব্দুন নুরসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত